কলকাতা, 13 নভেম্বর: অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন এই অভিযোগে যখন এথিক্স কমিটি তাঁর সাংসদ পথ খারিজের জন্য সুপারিশ করেছে, ঠিক সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করে মহুয়ার গুরুত্ব বৃদ্ধি করল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর আরও গুরুত্ব বাড়ল তৃণমূলে ৷
এ নিয়ে অভিষেক সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন, একসঙ্গে সাংসদ পথ বাতিলের সুপারিশ আর তদন্ত কীভাবে চলতে পারে। বলেছিলেন প্রতিহিংসার রাজনীতি হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবুও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মনে করছিলেন, এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়ার পাশে যতটা দাঁড়ানোর প্রয়োজন ছিল সেভাবে নাকি দল দাঁড়াচ্ছে না। তবে, আজ, সোমবার তাঁর গুরুত্ব যে কতটা তা বুঝিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ মহুয়া পেলেন আরও এক নতুন দায়িত্ব ৷
এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের যে 35টি সংগঠনিক জেলা রয়েছে এদিন তার বেশ কয়েকটিতে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করা হয়। আর সেই সাংগঠনিক রদবদলে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রীর দায়িত্ব পেলেন মহুয়া মৈত্র। এতদিন পর্যন্ত এই সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে ছিলেন কল্লোল খান। তাঁর জায়গায় মহুয়াকে এই পদে আনা হল। মহুয়া মৈত্রের এই পদপ্রাপ্তি অবশ্যই দলে তাঁর গুরুত্ব বৃদ্ধি বলেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।কারণ ক্যাশ ফর কোশ্চেন বিতর্ক পর্বে যখন রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছিল দল এবং মহুয়ার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে কি না, তা নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া অবশ্যই তাঁর গুরুত্ব বৃদ্ধি এবং পাশে থাকার বার্তা হিসাবেই দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা।
এদিন শুধু মহুয়া নয়, মুর্শিদাবাদ জেলাতেও দীর্ঘদিন ধরে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সারণী সিংহ রায়কে নিয়ে দলীয় নেতা, কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তাঁকে আজ সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁর জায়গায় সভাপতি করা হয়েছে অপূর্ব সরকারকে। একইভাবে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে কানাই চন্দ্র মণ্ডলকে। তাঁর বদলে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হল খালিদুর রহমানকে।
আরও পড়ুন:
- এথিক্স কমিটিকে তীব্র তোপ! কী কী অপেক্ষা করছে মহুয়ার জন্য ?
- আজ এথিক্স কমিটির বৈঠকে খসড়া রিপোর্ট পেশ ! মহুয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের ইঙ্গিত
- মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ এথিক্স কমিটির