কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি : ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার খেলা মনেহয় শুরু হয়ে গেছে। অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন "খেলা শুরু হয়ে গেছে।" এবার সেই খেলার আরও এক পর্ব। বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে তলব করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আজ তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে। মাদক পাচার কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়াতেই তলব।
মাদক পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী। আদালত চত্বরে সংবাদ মাধ্য়মের সামনেই তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাকেশ সিং। এবং চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তভার সি আই ডির হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন তিনি। আর এর পরেই ডাক পড়ে রাকেশের।
বারবারই বিভিন্ন অভিযোগে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে রাকেশের নাম। কিন্তু কে এই রাকেশ? উত্থানই বা কীভাবে?
কংগ্রেস শ্রমিক নেতা হিসেবে পরিচিতি ছিল রাকেশের। অধীর ঘনিষ্ঠ। 2019 লোকসভা ভোটের আগের ঢাকঢোল পিটিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। আর তারপর থেকে কৈলাশ ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিতি রয়েছে রাকেশের।
2019 সালের 18 মে খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারে দুই পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় নাম উঠে আসে রাকেশের। এরপর সেই ঘটনায় 5জুন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁরে। কাজে বাধা দিয়ে মারধর করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে হেয়ার স্ট্রিট থানার একটি মামলায় কোর্টে চত্বরেই তদন্তকারী অফিসারকে হেনস্থা ও ফাইল কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় জেল হয় রাকেশের। এরপর বিদ্য়াসাগরের মূর্তি ভাঙা এবং অমিত শাহের রোড শোতে ঝামেলা পাকানোর জন্য়ও নাম জড়ায়। যদিও সব ক্ষেত্রেই নিজের দোষ অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর একটাই বক্তব্য়, "বিরোধীদের চক্রান্ত।"