কলকাতা, 24 মে: বিসিসিআই-এ তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া অবিচার নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর হয়ে জোরালো ব্যাটিংও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । সেই সময় রাজনৈতিক মহলে চর্চায় ছিল সৌরভ অথবা তাঁর স্ত্রীকে সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি । শোনা যায় কোনও রাজনৈতিক দলের সাংসদ পদ নিতে চাননি সৌরভ ৷ তাতেই নাকি সেই সময় বিজেপির কোপের মুখে পড়তে হয়েছিল বাংলার মহারাজকে ! আর তখন পাশে ছিলেন দিদি ৷
মাস কয়েক আবার রাজনীতির আঙিনায় চর্চায় সৌরভ ৷ কারণ, গতকাল সোমবারই বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা পর্যটনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করেছে তাঁকে । আর তাতেই তৃণমূলের ছোট্ট টিপ্পনী, "উনি ভালো অলরাউন্ডার । কোথাও ব্যাট করেন । কোথাও বল ।"
যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের এই টুইটে নির্দিষ্ট কারও নাম ছিল না । তবে যত সময় গিয়েছে, তত স্পষ্ট হয়েছে ছবিটা । আসলে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বলা এই অলরাউন্ডার হলেন সৌরভ । প্রকাশ্যে সরাসরি বক্তব্য না রাখলেও হয়তো এই ছোট্ট টিপ্পনিতে কুণাল বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপির মাঠে যেমন ব্যাট করেন সৌরভ, ঠিক তেমনই তৃণমূলের মাঠেও করেন বল । অতএব মহারাজ যোগ্য অলরাউন্ডার ।
তবে একা কুণাল নন, এদিন সৌরভ নিয়ে মুখ খুলেছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ও । তিনি অবশ্য এতে রাজনীতির যোগ খুঁজে পাননি ৷ তবে তিনি সরাসরি বলে বসেছেন, টাকার জন্যেই সৌরভ ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন ।
ঠিক কী বলেছেন সৌগত ! দমদমের এই সংসদের কথায়, ‘‘আমার মনে হয় না এর পেছনে কোনও রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে । অবসর গ্রহণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিজ্ঞাপন জগতের এক নম্বরে আছেন । তিনি কোটি কোটি টাকার রোজগার করছেন আর একটা রোজগার করার জায়গা ওর তৈরি হল ।’’ তাঁর মতে, সৌরভের সঙ্গে ক্রিকেটের সম্পর্ক কম, রাজনীতি সম্পর্ক আরও কম । ত্রিপুরার লোকেরা ধরেছে তাই বলছে, এসব করছে ।’’
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন তাহলে কি 'অলরাউন্ডার' সৌরভকে চিনতে পারেননি সৌগতও ! নাকি সবটাই ব্যালেন্সের খেলা ! সৌরভ ক্রিকেট ছাড়লেও এখনও বাংলার বুকে একটা গ্রহণযোগ্য নাম । সরাসরি তাঁকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ দলের ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে প্রশ্ন হতে পারে ৷ আর তাই কি এই ধরনের বক্তব্য সৌগতর ! কী ভাবছেন তৃণমূল নেত্রী ! বিষয়টি কি নিতান্তই অরাজনৈতিক । নাকি তাঁর চোখেও সৌরভ 'অলরাউন্ডার' !
আরও পড়ুন:ত্রিপুরা পর্যটনের মুখ সৌরভ ? বেহালার বাড়িতে বৈঠক করলেন মন্ত্রী