কলকাতা, 14মে : কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত প্রকল্পের অনেক আগেই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার । আজ থেকে ছয়-সাত মাস আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । আগে থেকে চালু রয়েছে খাদ্য সাথী প্রকল্প । কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্পের ঘোষণা নিয়ে এইকথা বললেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । রাজ্যের প্রায় নয় কোটি মানুষ খাদ্যসাথী প্রকল্পের উপভোক্তা । কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা কতটা প্রযোজ্য করা যাবে তা বলা যাচ্ছে না বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী ।
অগাস্ট মাস থেকে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ চালুর কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন । তিনি জানান, এই প্রকল্পের ফলে গোটা দেশের 83 শতাংশ মানুষ উপকৃত হবেন । এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে আগামী দুইমাস খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ।
এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প কতটা প্রযোজ্য হবে জানা নেই : খাদ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রের এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার থাকবে না বলে ইঙ্গিত দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য রেশন ব্যবস্থার পরিকাঠামো তুলে ধরেন । খাদ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের প্রায় নয় কোটি উপভোক্তা । সেকারণে সীতারমনের ঘোষণা কতটা প্রযোজ্য করা যাবে তা বলতে পারছি না ।"
কেন্দ্রের এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার থাকবে না বলে ইঙ্গিত দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য রেশন ব্যবস্থার পরিকাঠামো তুলে ধরেন । খাদ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের প্রায় নয় কোটি উপভোক্তা । সেকারণে সীতারমনের ঘোষণা কতটা প্রযোজ্য করা যাবে তা বলতে পারছি না ।"
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মুসুর ডাল পাঠাচ্ছে না বলে ফের সরব হলেন খাদ্যমন্ত্রী । এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "কেন্দ্রীয় সংস্থা NAFED থেকে পাওয়া গেছে 13.270 মেট্রিক টন ডাল । প্রতিমাসে রাজ্যে লাগে 14,430 মেট্রিক টন ডাল । যতক্ষণ না সম্পূর্ণ ডাল পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষন তা সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না ।" কেন্দ্রের নয়া এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।