কলকাতা, 11 মার্চ: বানান ভুল হলে কাটা যাবে না নম্বর। কিছুদিন আগে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পরীক্ষকদের এমনই নির্দেশিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দিয়েছিল বলে জানা গেছিল। যা নিয়ে বিতর্কে ঝড় বয়ে গেছিল শিক্ষা মহলে। সোশাল মিডিয়াতেও এই নির্দেশিকা ঘিরে ব্যঙ্গ কম হয়নি। আজ বিতর্কিত সেই নির্দেশিকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "বানান ভুল হলেও নম্বর কাটা যাবে না এমন কোনও নির্দেশিকা পর্ষদের তরফে দেওয়া হয়নি। পর্ষদের তরফ থেকে বানানের হেরফেরের ক্ষেত্রে নম্বর কাটা যাবে না বলে বলা হয়েছে।" বানান ভুল ও বানান হেরফেরের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে ব্যাখ্যাও দেন তিনি।
বানান ভুল হলে কাটা যাবে না নম্বর, ব্যাখ্যা পর্ষদ সভাপতির - বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যাবে না প্রসঙ্গে ব্যাখা দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি
কিছুদিন আগে মধ্যশিক্ষা পর্যদ জানিয়েছিল, বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যাবে না৷ এই নিয়ে কম বিতর্কের ঝড় ওঠে নি৷ আজ সেবিষয়ে ব্যাখা দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷
এই বছর মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পরীক্ষকদের জন্য একাধিক নতুন নিয়ম চালু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বছরই প্রথম উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনও প্রশ্নের জন্য উত্তরের জন্য পুরো নম্বর না দেওয়া হলে কেন নম্বর কাটা হল তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে পরীক্ষকদের। তারপরেই বানান ভুল হলে নম্বর না কাটার নির্দেশিকা সামনে আসে। পর্ষদ এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়েছিল, উত্তর শুদ্ধ হলে পুরো নম্বর দেবেন, বানানের হেরফের থাকলেও নম্বর কাটা যাবে না। বাংলা বিষয় বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়গুলির বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যাবে না বলেই জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। সেক্ষেত্রে তথ্যগত দিক থেকে উত্তর ঠিক থাকলেই পুরো নম্বর দিতে বলা হয়েছিল। পর্ষদের এই নির্দেশিকা সামনে আসতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষা মহলের মত, এই নির্দেশ কার্যকর করা হলে বানান সম্পর্কে যত্ন, সতর্কতা আরও কমবে। যদিও আজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বানান ভুল হলেই কাটা হবে নম্বর। বানানের হেরফের হলে নম্বর কাটতে না করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমাদের আগে দিল্লি বানান কী ছিল? দীর্ঘ ঈ। এখন বাংলা অভিধানে এসেছে 'দিল্লি'। তাহলে কেউ যদি 'দিল্লি' ঈ লেখে তাহলে তার কি নম্বর কাটব? আমাদের আগে যুক্তাক্ষর ছিল। ক-য়ে ত-য়ে ছিল ও লিখে ডানদিকে আকৃতি দেওয়া (ক্ত)। এখন ক তার তলায় ত লেখা হয়। এগুলো হচ্ছে বাংলা বানানের হেরফের। এই হেরফের যদি হয় সেখানে নম্বর কাটা যাবে না। এটাই বলা আছে।" পাশাপাশি তিনি জানান, আগের মতোই 4টি বানান ভুলে 4 নম্বর কাটার বিধান বজায় থাকছে।