কলকাতা, ১৩ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের তরফে AG কিশোর দত্ত বারবার CBI-কে তাদের চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্তে সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনেরাল কৌশিক চন্দ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, রাজ্য সরকার আদৌ CBI অফিসারদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। উলটে হেনস্থা করা হয়েছে। চিটফান্ড সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের সিঙ্গল বেঞ্চে পারস্পরিক দোষারোপ করল দুই পক্ষ। সবকিছু শোনার পর বিচারপতি অবশ্য রায়দান স্থগিত রাখলেন। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, মামলার রায়দান পর্যন্ত তিন পুলিশ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের উপর স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। পাশাপাশি আলিপুর কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দিয়েছিলেন CBI অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বালিগঞ্জ থানা ডেকে পাঠাতে পারে, তার উপরেও স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে রায়দান পর্যন্ত।
আজ কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনেরাল কৌশিক চন্দ বলেন, "২০১৪ সালের চিটফান্ড সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেয় CBI অনুসন্ধান চালাতে পারবে। সেই নির্দেশের পরই CBI রাজ্যের বিভিন্ন চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলায় অনুসন্ধান শুরু করে। তিন পুলিশ কর্তা দিলীপ হাজরা, শংকর ভট্টাচার্য ও অর্ণব ঘোষকে CBI ৩০ নভেম্বর ২০১৮ সালে নোটিশ পাঠায়। ২০১৭ সালে আমানতকারীদের দুটি দল রোজ়ভ্যালির একটি হোটেল ভাঙচুর করে। এরপর হোটেলের ম্যানেজার বালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার জন্য CBI অফিসার ব্রতীন ঘোষালকে কেন ডাকা হবে বালিগঞ্জ থানায় ? তাকে তিন-চার ঘণ্টা ধরে পুলিশ হেনস্থা করেছে। রোজ়ভ্যালি সংক্রান্ত বিষয়ে যদি কারও কিছু বলার থাকে তাহলে তাঁকে ওড়িশাতে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে যে বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছে সেখানে গিয়ে বলতে হবে।"