পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Calcutta High Court: খারিজ রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি, সৈকত মৈত্রকে উপাচার্য পদে ফেরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্রকে পুনর্নিয়োগ করে রাজ্যসরকার মেয়াদ শেষের আগে সম্প্রতি তাঁকে অপসারণের বিজ্ঞপ্তিও জারি করে ৷ এর বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন উপাচার্য (Calcutta High Court) ৷

HC orders to join VC
উপাচার্যকে ফিরতে নির্দেশ আদালতের

By

Published : Aug 4, 2022, 12:31 PM IST

কলকাতা, ৪ অগস্ট: সৈকত মৈত্রকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে পুনরায় যোগদানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । আজ বিচারপতি কৌশিক চন্দ তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে কাজে যোগ দেওয়ার রায় ঘোষণা করলেন ৷ গত 29 জুলাই অপসারণ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার । এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র । এই রায় দানের পাশাপাশি বিচারপতি রাজ্য সরকারের অপসারণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটিও খারিজ করে দিয়েছেন (High Court orders Vice Chancellor of Maulana Abul Kalam Azad University of Technology to join within 3 weeks) ৷

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে কেন অপসারণ করা হল, আদালতে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন উপাচার্য (Maulana Abul Kalam Azad University of Technology) । নির্ধারিত সময়ের আগে অপসারণ আইন-বিরুদ্ধ এবং বিজ্ঞপ্তি খারিজের দাবিতে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন । সৈকত মৈত্রের বক্তব্য, 2017-র 21 ফেব্রুয়ারি তাঁকে 4 বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিযুক্ত করা হয় । পরে 2021-র 26 ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফের 4 বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ করা হয় । এদিকে কোনও কারণ না জানিয়েই 2022-এর 29 জুলাই তাঁকে অপসারণ করা হয় ।

বিচারপতির রায়ে উপাচার্য পদে বহাল রইলেন সৈকত মৈত্র

আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষের আগেই বরখাস্ত উপাচার্য ! সরকারি নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ আদালতের

মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "2016-র 6 এপ্রিল 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি অ্যাক্ট' আইন প্রণয়ন করা হয় মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ।" এই আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করলে উপাচার্যকে অপসারণ করতে পারেন । বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও উল্লেখ করা হয়, লেখাপড়ার মান উন্নত করার জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিচালনার প্রয়োজনে রাজ্য উপাচার্যকে অপসারণ করতেই পারে ৷

অন্যদিকে, উপাচার্য সৈকত মৈত্রের তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন,"রাজ্যই তাঁকে পুনর্নিয়োগ করেছিল । তাতে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি । এরপর কারও অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে পদ থেকে সরানো যায় না ।"

এর পালটা জবাবে রাজ্য সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ও অপসারণের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে । উপাচার্য নিজেই বলেছেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নন, একজন অফিসার ।"

সোমবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে শুনানির জন্য ওঠে এই মামলাটি ৷ মামলাকারী উপাচার্যের আবেদন শুনে সরকারি নির্দেশিকায় সাত দিনের স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি ৷ মঙ্গলবার (2 অগস্ট, 2022) দুপুর 12টায় মামলাটির পরবর্তী শুনানি হয় ৷ তারপর আজ এই রায় দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details