কলকাতা, 29 মার্চ: কলকাতা পৌরনিগমে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় এবার অভিযুক্ত খোদ কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার । নবান্নে কর্মরত ওই অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইয়ার দায়ের করে বুধবার সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (HC directed CID to investigate Recruitment of KMC)।
তাঁকে বাঁচাতে অন্য একজনকে অভিযুক্ত করে হেফাজতে নিয়ে তার মুখ দিয়ে দোষ কবুল করাতে বেধড়ক মারধরে অভিযুক্ত ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর-সহ পাঁচ পুলিশ অফিসার । গোটা ঘটনাক্রম বুঝে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এখনই ধৃত কৌস্তভ দাসকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিতে হবে । একইসঙ্গে তদন্ত সিআইডির হাতে তুলে দিয়ে আদালতের নির্দেশ, অভিযুক্ত ওই পুলিশ অফিসারদের সঙ্গেই সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ব্যাপারে বিবেচনা করবে । পাশাপাশি সিপি ব্যারাকপুর ওই অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে পদক্ষেপ করবেন ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বরানগরের দুই ভাইবোনের একজনকে কলকাতা পৌরনিগমে চাকরি ও অন্যজনকে বারের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে 2021 সালে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সোমনাথ ভট্টাচার্য 30 লক্ষ টাকা ঘুষ নেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় । পরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে যান । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বাগুইআটি এলাকার কৌস্তভ দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে । 16 মার্চ গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর-সহ পাঁচজন তাকে হেফাজতে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ।
নিম্ন আদালতে তাকে পেশ করার আগে দমদম ক্যান্টনমেন্ট জগদীশচন্দ্র বসু হাসপাতালের এক চিকিৎসককে দিয়ে ফিট সার্টিফিকেট লিখিয়ে নেয় । কিন্তু কোর্টে পেশ করলে বিচারক দেহে মারধরের দাগ দেখে তার পুলিশ হেফাজতের আবেদন খারিজ করে দেন । হাইকোর্টে কৌস্তভ দাসের স্ত্রী মামলা দায়ের করলে এদিন বিচারপতি মান্থা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন ।
আরও পড়ুন : ঈশ্বরগুপ্ত ব্রিজ থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের