কলকাতা, 6 অক্টোবর: রাজভবন চত্বরে 144 ধারা থাকা সত্ত্বেও কী করে তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনা চালাচ্ছে ? এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার থেকে বিরোধী শিবির থেকে উঠেছে একাধিক সওয়াল। শুক্রবার এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি টুইট করেও বার্তা দিয়েছেন । এক্স হ্য়ান্ডেলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, "রাজভবনের 150 মিটার পর্যন্ত 144 ধরা থাকা সত্ত্বেও কী করে ধরনা অবস্থান চলতে পারে ? তৃণমূল কংগ্রেস আইন ভেঙেছে। সস্তা রাজনৈতিক 'ড্রামা'র রাজ্যপালের মত সাংবিধানিক পদের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়েছে ।"
বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এবং নেতৃত্বে যে রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল তা এখন অবস্থান এবং ধরনায় পরিণত হয়েছে। এদিন বেলা সাড়ে 11টা নাগাদ আবারও ধরনা মঞ্চে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে উপস্থিত রয়েছে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বও । এছাড়াও রয়েছে বহু কর্মী-সমর্থক, যাঁরা বৃহস্পতিবারই বাসে, ট্রেন, গাড়িতে জেলা থেকে কর্মসূচিতে সামিল হতে এসেছেন।
সস্তা রাজনীতির জন্য বিপন্ন রাজ্যপালের নিরাপত্তা, কটাক্ষ শুভেন্দুর রাজভবনে নেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । উত্তরবঙ্গের বানভাসি অবস্থা পরিদর্শনের পর তিনি দিল্লি গিয়েছেন । তাই তাঁদের দাবি যে, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না-হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই ধরনা চালিয়ে যাবেন । রাজভবনের বাইরে তৃণমূলের ধরনা নিয়ে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী নাম না-করে একটি রাজনৈতিক দলের 'এমডি' বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "এই রাজ্যকে তিনি তাঁর নিজের সম্পত্তি মনে করেন তাই এই রাজ্যের জমিদার ভাবেন নিজেকে।"
আরও পড়ুন: 'নকশালবাদ মানবতার জন্য অভিশাপ', দাবি শাহর; মোকাবিলায় নয়া রোডম্যাপ তৈরির ভাবনা
মূলত মোদি সরকার বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। এই প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লিতে দু'দিনের কর্মসূচি শেষ করে রাজ্যে ফিরেই রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক । যা এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে। কারণ, রাজভবনের দিক থেকে এখন স্পষ্টভাবে জানা যায়নি কবে রাজ্যে ফিরবেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে, এদিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে রাজ্যপালের। ওয়াকিবহল মহলের মতে রাজ্যের পরিস্থিতি রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বানভাসী যে জায়গাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি সেইসব জায়গার হাল হকিকত নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তারপর দিল্লি থেকে 10 অক্টোবর রাজ্যপালের কেরলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।