কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কিছুতেই থামার লক্ষণ নেই ৷ কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করছেন । কখনও আবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজের অবস্থানে অনড় থেকে কঠোর ভূমিকা পালন করছেন ৷ শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে 'তুঘলকে'র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। শনিবার সল্টলেকে এক অনুষ্ঠান শেষে ব্রাত্য বসুর সেই বক্তব্যের পালটা জবাব দিলেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, নিজের কাজের জন্য তিনি গর্বিত। আরও কী ঘটতে চলেছে তার জন্য এদিন মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷
শুক্রবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, "মনে হয়েছিল আলাউদ্দিন খলজি ৷ কিন্তু ব্যাপারটা যে মহম্মদ বিন তুঘলক হয়ে যাবে, সেটা বুঝতে পারিনি ৷" এ বিষয়ে এদিন এক প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যপাল বলেন, "আমি আমার কাজের জন্য গর্বিত। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । দেখুন কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় ।"
দিনকয়েক আগে মাঝরাতে রাজ্যের 16টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সে বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতর কিংবা সার্চ কমিটির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা বা পরামর্শ বা সুপারিশ কোন কিছুই গ্রহণ করা হয়নি। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তো বটেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। দিনকয়েক আগে হুঁশিয়ারির সুরে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি এমনকী প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভেরও হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুক্রবার রাজভবনের বাইরে তৃণমূল প্রভাবিত অধ্যাপক সংগঠনের তরফেও বিক্ষোভ দেখানো হয় ।