পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

করোনা রোগীদের পরিবারের পাশে প্রতিবন্ধী সম্মিলনী এবং ডক্টরস ফোরাম

করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এল চারটি সংস্থা — পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং মুক্তি। বৃহস্পতিবার কলকাতার উপকণ্ঠে মুকুন্দপুরে তৈরি হল 50 শয্যার একটি কেভিড কেয়ার ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টার । হাসপাতালে বেড না পাওয়া বা অক্সিজেনের অভাবে মরণাপন্ন করোনা রোগীদের এখানে ভর্তি করে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা হবে ৷

four organizations includingdoctors forum in kolkata take action to help corona petients
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী

By

Published : May 20, 2021, 8:43 PM IST

কলকাতা, 20 মে : সংকটাপন্ন করোনা আক্রান্ত এবং প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভোগা কোনও রোগীকে নিয়ে একটা হাসপাতাল থেকে আর একটা হাসপাতালে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন পরিবারের লোকজন । আবার হয়তো কখনও অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্যে সারা কলকাতা চষে ফেলছেন রোগীর আত্মীয়স্বজনরা । চিকিৎসা না পেয়ে বা অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এই ছবি আকছারই দেখা যাচ্ছে ৷

অন্তত কিছু মানুষকে এই ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এল চারটি সংস্থা — পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং মুক্তি। বৃহস্পতিবার কলকাতার উপকণ্ঠে মুকুন্দপুরে তৈরি হল 50 শয্যার একটি কেভিড কেয়ার ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টার । হাসপাতালে বেড না পাওয়া বা অক্সিজেনের অভাবে মরণাপন্ন করোনা রোগীদের এখানে ভর্তি করে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা হবে ।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের পক্ষ থেকে চিকিসৎসক অর্জুন দাসগুপ্ত জানালেন, এই সেন্টারটিতে 24 ঘণ্টা ডাক্তার এবং নার্স থাকবেন । তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর মুখ্য কার্যালয় ভবনের 20,000 বর্গফুট জায়গাকে আইসোলেসন সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে । প্রত্যেক শয্যার পাশে বসানো হয়েছে অক্সিজেন পৌঁছনোর সরবরাহ লাইন । এই পুরো প্রাথমিক চিকিৎসা এবং অক্সিজেন সাপ্লাই হবে নিখরচায় । চিকিৎসকরাও নেবেন না কোনও পারিশ্রমিক ।"

এই সেন্টারের প্রধান প্রশাসনিক কর্তা দীপক সরকার জানালেন, যে চারটি সংস্থার মিলিত উদ্যোগে এই সেন্টারটি গড়ে উঠেছে তারাই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পিপিই কিট সরবরাহ করবে বিনামূল্যে। সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষিত সিস্টার এবং স্বাস্থকর্মীদের একটি সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হবে । সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের স্বেচ্ছায় অনুদানের অর্থেই এই সেন্টারটির পরিচালনা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় আর্থিক খরচের সংকুলান হবে ।

আরও পড়ুন : দেশে করোনা সংক্রমণ কোথায় কত, দেখে নিন এক ক্লিকে

হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে রোগীর শারীরিক অবস্থার বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে সেন্টার কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পরেই চিকিৎসকদের পরামর্শ এবং অভিমত অনুযায়ী রোগীকে ভর্তি করানো হবে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details