কলকাতা, 25 মে : "এনাফ ইজ় এনাফ । মানুষের সহ্য করার একটা সীমা আছে ।" CESC-কে এভাবেই কড়া বার্তা দিলেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম । বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে আজও আবেদন জানান তিনি । বলেন, "এত বড় একটা বিপর্যয় যে আসছে তা আগে থেকেই জানা ছিল । তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা কেন আগে থেকে নেয়নি CESC।"
আজ তিনি বলেন, "কলকাতার বহু জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি । মানুষ এখনও জল ছাড়া গরমের মধ্যে অন্ধকারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে । বেহালা, যাদবপুর, টালিগঞ্জের বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি । কয়েকটি অংশে পরিষেবা চালু হলেও সম্পূর্ণরূপে তা এখনও স্বাভাবিক হয়নি । আমরা বার বার CESC-র কাছে আবেদন জানিয়েছি দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে । লোক বাড়িয়ে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার আবেদন করা হয়েছে ।" আজও যাদবপুর ও রানিকুঠি এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা ।
তিনি আরও বলেন, কলকাতায় সাড়ে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি গাছ উপড়ে পড়েছে । তার মধ্যে সবথেকে বেশি গাছ পড়েছে বোরো 7, 8, 9, 4, 16, 11, 12-তে । এছাড়াও সাউদার্ন অ্যাভিনিউ, হরিশ মুখার্জি রোড, আলিপুর রোড, ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় সবথেকে বেশি সংখ্যক গাছ ভেঙে পড়েছে । এই মুহূর্তে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে রাস্তার দু'ধার থেকে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে ফেলার কাজ করা হচ্ছে ।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের জাপটে কলকাতার সবুজায়ন চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ফিরহাদ হাকিম বলেন, সবুজায়ন ধরে রাখতে না পারলে আগামী দিনের প্রজন্মের জন্য বিপদ বাড়বে। তাই সবুজায়নকে ধরে রাখতে হবে । 30 মে বনদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি । এমন গাছ লাগাতে হবে যা সহজেই ঝড়-বৃষ্টিতে উপড়ে না পড়ে । সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে গাছ লাগাবে কলকাতা পৌরনিগম । কলকাতার রাস্তা থেকে গাছ সরানোর জন্য কেন্দ্রের সাহায্য নিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে । কলকাতাকে স্বাভাবিক করতে আরও 3-4 দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মেয়র । তিনি বলেন, "সবাই মিলে আমরা কাজ করছি কলকাতাকে দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য । এত বড় বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে আগে থেকে প্রস্তুত থাকলেও মোকাবিলা করতে কিছুটা সময় লেগে যায় । সেই সময়টুকু দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি শহরবাসীর কাছে ।"