কলকাতা, 9 অগাস্ট : রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এক সংস্থার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে মিল ছিল কর্মীর স্যালারি অ্যাকাউন্টের । সেটাকে কাজে লাগিয়েই প্রায় কোটি টাকার প্রতারণা করে ওই কর্মী । প্রথমটায় ওই সংস্থা কিছুই বুঝতে পারেনি । এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই প্রতারণার খেলা ধরা পড়ে গত আর্থিক বছরে ওই কম্পানির অডিটে । বিষয়টি নিয়ে গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । মামলার তদন্ত ভার নেয় লালবাজারের অ্যান্টি ফ্রড শাখা । তদন্তে নেমে অবশেষে পরদা ফাঁস হল প্রতারকের । তাকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ । অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছর জানুয়ারি মাসে । 38 নম্বর বিবেকানন্দ রোডে অবস্থিত ডেলিভারি প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক লজিস্টিক সংস্থায় ডেলিভারি বয় হিসেবে চাকরি করত বছর পঁচিশের শুভঙ্কর দাস । এই সংস্থাটি অ্যামাজন, সিয়মি, পেটিএম-এর মত কম্পানির জিনিসপত্র ডেলিভারির কাজ করে । কম্পানিটির ডেলিভারি বয়রা সারাদিনের কালেকশন ক্যাশ ডিপোজ়িট মেশিনের মাধ্যমে কম্পানির অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেয় । ডিপোজ়িট স্লিপ প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হয় কম্পানির অ্যাকাউন্ট সেকশনে । সেটাই নিয়ম । শুভঙ্করেরও একই কাজ করার কথা ছিল । অভিযোগ, সেটা সে করেনি । গত মার্চ মাসে কম্পানিটির অডিটে ধরা পড়ে 92 লাখ 95 হাজার টাকা নয়ছয় হয়েছে । এরপর কম্পানির তরফে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হয় । সেই তদন্তে পাওয়া যায়নি কিছুই । শেষমেশ 30 মে ওই সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় সিকিওরিটি ম্যানেজার গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । কেসের গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার নেয় লালবাজারের অ্যান্টি ফ্রড শাখা ।