কলকাতা, 21 জুন:উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন, অথচ জানেই না উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ! রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রায় আটজন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দিলেও সে খবর নেই সংসদের কাছে। ভুয়ো নিয়োগের এক মামলায় উঠে এল এমনই নতুন তথ্য। এই ঘটনার জেরে উচ্চ প্রাথমিক সংসদের সচিবকে তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
জানা গিয়েছে, 2016 সালের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই তথ্য সামনে এসেছে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জারি করা প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। 186 জনের নিয়োগ হয়েছে নতুন করে। এই মর্মে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট আটজনের খোঁজ মিলেছে, যারা চাকরি করছে অথচ বোর্ডের কাছে সে সংক্রান্ত কোনও খবরই নেই। বুধবার অবশ্য উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে তাদের ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ৷
এদিন দুপুর দু'টোয় সংসদের সচিবকে ডেকে পাঠান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷ তার আগে শুনানিতে কাউন্সিলের আইনজীবীর মুখে ভুলের তত্ত্ব শুনে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিচারপতি ৷ তিনি পর্যবেক্ষণে বলেন, "সংসদ তো ভুলের সাগরে ভাসছে। আর কত ভুল দেখব? আজ আদালতে আসতে হবে সংসদের সচিবকে। তিনি একজন সরকারি আধিকারিক। তাঁর এত উদাসীনতার কী কারণ আছে, তা সবিস্তারে জানতে চায় আদালত।" কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি সংসদের সচিব। ফের আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বেলা দু'টোয় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ।
আরও পড়ুন:ট্রাম বাঁচাতে কমিটি গঠনের নির্দেশ, সম্পত্তি বিক্রিতে 'না' আদালতের
এদিন কাউন্সিলের সচিবের দাখিল করা হলফনামায় খুশি হয়নি আদালত। সংসদের সচিবের দেওয়া হলফনামা গ্রহণ করল না, কলকাতা হাইকোর্ট। হলফনামায় এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে চাকরিতে যোগদানকারী 67 জন শিক্ষক নিয়োগপত্র নেননি ৷ যার মধ্যে আটজন রয়েছেন। আবার হলফনামার অন্য অংশে উল্লেখ রয়েছে আটজন নিয়োগপত্র নিয়েছেন। আগামিকাল আদালতে হাজির হয়ে এর জবাব দিতে হবে সংসদের সচিবকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ তালিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও 186 জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদ কী করে সুপারিশ করল, হলফনামার মাধ্যমে আদালতকে জানাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷ বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।