পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

RG Kar Medical College: ময়নাতদন্তের আগেই মৃতদেহ পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ টেবিলে, রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্যভবন

পুলিশের অনুমতি না-নিয়েই পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ টেবিলে ময়নাতদন্তের জন্য আনা দেহ (Dead bodies on Student training table before being post mortem) ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ৷

RG Kar Medical College
আরজি করে চাঞ্চল্য

By

Published : Jan 9, 2023, 6:50 PM IST

Updated : Jan 9, 2023, 10:50 PM IST

কলকাতা, 9 জানুয়ারি:পুলিশের অনুমতি না-নিয়েই পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হল ময়নাতদন্তের জন্য আনা দেহ ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) ঘটনায় চাঞ্চল্য ৷ ঘটনায় হতবাক চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, ময়নাতদন্তের জন্য আসা পাঁচটি দেহ ব্যবহার করা হয়েছে পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণে (Dead bodies on Student training table before being post mortem) ৷ অথচ পুলিশ নাকি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি। এই ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। সম্পূর্ণ ঘটনার রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্যভবন।

ময়নাতদন্তের আগেই মৃতদেহ পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ টেবিলে

সূত্রের খবর, কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই নাকি ফরেনসিক বিভাগ থেকে দেহগুলি গত 5 জানুয়ারি কর্মশালার জন্য নাক-কান-গলা বিভাগে পাঠানো হয়। পুলিশের অনুমতি ছাড়া কীভাবে আনা হল দেহ, তা নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রশ্ন উঠছে ৷ গত 5 জানুয়ারি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের পুলিশি মর্গে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়েছিল। মেডিক্যাল লিগ্যাল কেসের জন্য দেহগুলি ময়নাতদন্তের স্বার্থে পাঠিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ, ওঠে ওইদিন সকালে সেই দেহগুলিকে নাক-কান-গলা বিভাগের এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারির কর্মশালায় ব্যবহার করা হয়। ডাক্তারি পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের জন্য সেগুলি ব্যবহৃত হয়।

আরজি করে চাঞ্চল্য

আরও পড়ুন:পুরনো নিয়মে ফিরছে উচ্চমাধ্যমিক, উত্তরপত্রেও আসছে বদল; ঘোষণা সংসদের

পড়ুয়াদের ব্যবহারের পর বিকেল 5টায় ওই দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হয়। সূত্রের খবর, ওই কর্মশালায় ইএনটি-র তরফ থেকে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেখানে অধ্যক্ষের অনুমতির পর ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রবীর চক্রবর্তী সেই অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, এটা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিয়মের পরিপন্থী। মূলত পরিবারের অনুমতি এবং পুলিশকে না-জানিয়ে মৃতদেহ পড়ুয়াদের কর্মশালায় পাঠানো যায় না। সেখানে দাঁড়িয়ে কেউই এই বিষয়ে জানত না বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে কীভাবে দেহ পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণে ব্যবহার হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Last Updated : Jan 9, 2023, 10:50 PM IST

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details