কলকাতা, 7 মে : কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য । বললেন, " কোরোনায় আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর হারে দেশের মধ্যে প্রথম আমাদের রাজ্য । মৃতের অনুপাতে সম্ভবত বিশ্বের মধ্যেও প্রথম জায়গা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ।"
বলেন, "রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের মধ্যে তথ্য চাপাচাপি চলছে । মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের পরস্পর চিঠি চালাচালিতে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের সমস্যার আসল প্রশ্ন । ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নাটক করছে BJP এবং তৃণমূল ।" তাঁর মতে, সমগ্র উত্তর 24 পরগনায় এখনও পর্যন্ত কোনও বাসিন্দা 10 কেজি আটা এবং চাল পাননি । কেবলমাত্র উত্তর 24 পরগনা নয়, সমগ্ৰ রাজ্যের একই চিত্র বলে মনে করেন তন্ময় ভট্টাচার্য । বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে তার কোনও হিসেব নেই । দেশের মানুষের টাকাতেই সমৃদ্ধ হয়েছে ত্রাণ তহবিলগুলি ।"
এই প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে তুলনা টেনে তন্ময় ভট্টাচার্য জানান, "প্রতিবছর নিয়ম করে বামফ্রন্ট সরকার হিসাব দিত । ত্রাণ তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে বলা হত । রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণভাবে ধামাচাপা দিচ্ছে ত্রাণের টাকা, কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা । অথচ দেশের সরকার কর্পোরেটদের ছাড় দিচ্ছে । গরিব মানুষের মধ্যে রেশন বণ্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । সরকার নির্ধারিত পরিমাণ চাল এবং গম পাচ্ছেন না রাজ্যের মানুষ । একদিকে যখন কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তখন সরকারি কর্মচারীদের বেতন কেটে তাঁদের আছাড় মারা হচ্ছে । বিজ্ঞাপন বাবদ প্রচুর টাকা খরচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । "
মুখ্যমন্ত্রী কোরোনা নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন CPI(M) বিধায়ক। বলেন, " চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ টাকা বিজ্ঞাপনেই খরচ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । যদি তাই হয়, তবে কি কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য আর টাকা নেই? রাজ্যবাসীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে?"