কলকাতা, 24 অগস্ট:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশের হাতে ইতিমধ্যেই 13 জন গ্রেফতার হয়েছেন । তাঁদের মধ্যে অন্যতম সৌরভ চৌধুরী এবং জয়দীপ ঘোষ । হেফাজতে থাকা জয়দীপ ঘোষকে আজ ফের আলিপুর পুলিশ আদালতে পেশ করা হয় । আদালতে পুলিশের তরফে জানানো হয় যে, তদন্তে সহযোগিতা করছে না জয়দীপ ৷ আদালত জয়দীপকে ফের 5 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷
ঘটনার দিন কার কথায় হস্টেলের মেন গেট বন্ধ করে দিয়েছিল জয়দীপ ? এছাড়াও গোটা ঘটনায় তাঁর কী ভূমিকা রয়েছে এবং ঘটনার দিন ওই পড়ুয়ার সঙ্গে কী কী অত্যাচার হয়েছে, সেই বিষয়ে তদন্তে জয়দীপ একেবারেই সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ ফলে জয়দীপকে ফের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে এই ঘটনায় তাঁকে জেরা করতে চায় পুলিশ । ধৃত জয়দীপের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 353 ধারায় সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ ।
ঘটনার রাতে অর্থাৎ 9 অগস্ট যখন যাদবপুর থানার পুলিশকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে যান, সেই সময় পুলিশকে দেখে গেট বন্ধ করে দেন জয়দীপ ঘোষ । কাজেই পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকতে না পেরে কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে জানতে পারে, ওই পড়ুয়াকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে কেপিসি হাসপাতালে পৌঁছান ওই পুলিশকর্মীরা । পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার সন্দেহে জয়দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।