কলকাতা, 27 এপ্রিল : "শীঘ্রই আসছি "। বাংলায় লেখা একটি পোস্টার ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি সাইটে মুরসালাত নামে এক ISIS পন্থী গ্রুপ এই পোস্টারটি প্রকাশ করে। তারপর থেকেই গোয়েন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট । তারা জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
এমনিতেই বাংলাদেশে ISIS-র শাখা জামাতুল মুজাহিদিন (New-JMB)-র সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে । কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গা এবং প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে জঙ্গিদের লুকিয়ে রাখা এবং যুব সম্প্রদায়কে সংগঠনে যোগ দেওয়ানোর ক্ষেত্রে JMB গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার বাবুঘাট থেকে JMB জঙ্গি আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরিফুল গয়া বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী । এর আগে, JMB অসমে একটি মডিউল তৈরি করে। জঙ্গিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জানা যায়, তারা অসমের চিরাংগে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাচ্ছিল।
জুলাইতে, অ্যামেরিকার গোয়ন্দা সংস্থা FBI মহম্মদ মুসিরুদ্দিন ওরফে মুসা নামে এক ISIS-JMB জঙ্গিকে জেরা করেছিল। পশ্চিমবঙ্গের CID বর্ধমান স্টেশনের একটি ট্রেন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। মুসা দীর্ঘদিন ধরে তামিলনাড়ুর তিরপুর জেলায় লুকিয়ে ছিল। আমজাদ শেখ নামে আর এক JMB জঙ্গির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। আমজাদ শেখ 2014-র খড়গপুরে জোড়া বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত। এদিকে, তিনবছর আগে থেকেই JMB কাজে লাগায় তাদের স্লিপার সেলকেও । বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণও নেয় তারা । JMB-তে যোগ দেওয়ার জন্য পোস্টারও লাগানো হয় ।
উল্লেখ্য, ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কায় তিনটি চার্চ ও হোটেলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে 253 জনের মৃত্যু হয় । তার দায়ও স্বীকার করেছে ISIS । তাহলে কি পরবর্তী সন্ত্রাসবাদী হামলার টার্গেট বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গ?