কলকাতা, 4 মে: এবার কলতলার ঝগড়া বন্ধ হোক । মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে চিঠি ও পালটা চিঠি নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা । পশ্চিমবঙ্গে হাজারো সমস্যা রয়েছে । তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের চিঠি ও পালটা চিঠির বিষয়টি গোটা দেশের কাছে এ রাজ্যের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে বলে মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর । কংগ্রেসের সুরে সুর মিলিয়ে CPI(M) নেতারাও মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ।
রাজ্যের মানুষ অসহায় অবস্থায় রয়েছে । গণবণ্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । রেশন দোকান থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য মিলছে না । এই লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে । সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের পত্র যুদ্ধ প্রকাশ্যে আসায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ ।রাজ্যপাল পদটির বিলুপ্তির কথা বহুবার বলেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । বামফ্রন্ট দলগতভাবে মনে করে রাজ্যপাল পদটির অবসান হওয়া উচিত । রাজ্যপালের ব্যবহার যথাযথ নয় বলেও মন্তব্য করেছেন CPI(M) পলিটবিউরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, "রাজ্যপাল পদটি তুলে দেওয়া দরকার । রাজ্যপাল BJP-র সুরে কথা বলছেন । মুখ্যমন্ত্রী নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজ্যপালের সঙ্গে চিঠি-চাপাটি করছেন । রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য BJP এবং তৃণমূল যৌথভাবে নতুন খেলায় নেমেছে ।"
এবার মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল কলতলার ঝগড়া বন্ধ হোক, বলছেন বিরোধীরা
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের পত্র যুদ্ধ প্রকাশ্যে আসায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ , অভিযোগ বিরোধীদের ৷
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, "রাজ্যপাল রাজভবন থেকে বসে কেবল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠির পর চিঠি লিখছেন । রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য খাদ্যের বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছেন । সবটাই গট-আপ গেম । রাজ্যের মানুষ বিপদে রয়েছে । এইভাবে একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি করলে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের পদটির গুরুত্ব কমে যায় ।"
"রাজ্যের মানুষ এসব আর দেখতে চাইছেন না । তাঁরা চাইছেন কর্মসংস্থান । দুবেলা খাদ্যের জোগান । অহেতুক ঝগড়া করে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে শাসক দল তৃণমূল", মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ।