কলকাতা, 3 এপ্রিল: রাজ্যের সরকারি গ্রন্থাগারগুলি থেকে রাজনৈতিক মুখপত্র বাতিল করার বিরুদ্ধে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে । কোন সংবাদপত্র রাখা হবে তা রাজ্যের গ্রন্থাগার আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকার লাইব্রেরিগুলি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে বলে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি শিবাজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ । স্থানীয় মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে লোকাল লাইব্রেরিগুলি বলে নির্দেশ দেওয়া হয় সোমবার ।
বর্তমান শাসকদল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পর 14 মার্চ 2012 সালে একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৷ তাতে জানায়, রাজ্যের লাইব্রেরিগুলিতে মাত্র আটটা সংবাদপত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হবে । এই বিজ্ঞপ্তির ফলে বাদ পড়েছিল গণশক্তির মত বাম মুখপত্র । তারপরই ওই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছিল । এদিন শুনানিতে সুপ্রিমকোর্টের একটা রায় উল্লেখ করে মামলাকারী জানান, জনগণের টাকা খরচ করে সংবাদপত্র কেনা হচ্ছে । সেখানে আইনত কোনও বিধিনিষেধ রাখা যায় না ।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, 7 নভেম্বর 2019 ও 8 ফেব্রুয়ারি 2021 নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে 14টা সংবাদপত্র কেনার কথা জানানো হয় । এতে উর্দু এবং নেপালি ভাষার সংবাদপত্র পর্যন্ত রয়েছে । সরকারি অর্থ ব্যয় করে কোনও রাজনৈতিক মুখপত্র রাখা যায় না ৷ রাজ্যের এই বক্তব্যের প্রত্তুত্তরে বিচারপতি শিবাজ্ঞনাম বলেন, "স্থানীয় মানুষের চাহিদা গুরুত্বপূর্ণ । সেদিকে বিবেচনা করেই স্থানীয় লাইব্রেরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত ।"
শেষে নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কোন সংবাদপত্র রাখা হবে তা রাজ্যের লাইব্রেরি আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রন্থাগার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে । এর আগে একাধিক প্রধান বিচারপতি এই মামলার শুনানি করেছেন । কিন্তু মামলার নিস্পত্তি হয়নি । শেষে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই মামলার নিস্পত্তি করলেন ।
আরও পড়ুন:রামনবমীকে কেন্দ্র করে অশান্তি, সিসিটিভি-ভিডিয়ো ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের