কলকাতা, 6 ডিসেম্বর:রাজ্যে শিক্ষকদের শূন্যপদের সংখ্যা কত ? এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার যা বলেছিলেন, বুধবার তার থেকে ঘুরে গেলেন 180 ডিগ্রি ৷ তিনি এ দিন বিধানসভায় বলেছেন যে, গতকালের দেওয়া সংখ্যার থেকে শূন্য শিক্ষক পদের সংখ্যা অনেক বেশি ৷ তাঁর বক্তব্যে তৈরি হওয়া বিতর্কের নিজেই অবসান করতে চান বলে জানিয়ে ব্রাত্য এ দিন তুলে ধরেন প্রকৃত পরিসংখ্যান ৷
মঙ্গলবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল । রাজ্যে শিক্ষকদের জন্য শূন্যপদ কত রয়েছে ? সেই হিসেব মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বলেছিলেন, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে শিক্ষকদের শূন্যপদের সংখ্যা 781।
তাঁর এই বক্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায় ৷ প্রশ্ন ওঠে, যেখানে কয়েক হাজার আন্দোলনতর চাকরিপ্রার্থীর দাবি যে, কয়েক লক্ষ শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে, সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া মাত্র 781টি শূন্যপদের খতিয়ানের অর্থ কী ? এই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা ৷ শিক্ষামন্ত্রীর দাবির সঙ্গে আদালতে তাঁর দফতরের দেওয়া বয়ানও মিলছিল না ৷ এর ব্যাখ্যাও এ দিন দিয়েছেন ব্রাত্য বসু ।
তিনি আজ বলেন, "বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেছিলাম, শিক্ষকের শূন্যপদ কত আমার পক্ষে এই মুহূর্তে সেটি বলা সম্ভব নয় । প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ অবসর নিচ্ছেন । আমার কথা নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল । সেই তথ্য দিয়ে বিতর্কের অবসান করতে চাইছি ।"
এ কথা বলে তাঁর আগের বলা তথ্য সংশোধন করে শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দেন, শিক্ষকদের শূন্যপদের সংখ্যাটা তাঁর গতকালের দেওয়া পরিসংখ্যানের থেকে অনেক বেশি ৷ এ দিন ব্রাত্য বসু জানান, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে 2022 সালে রাজ্য থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছিল । সেই তথ্য অনুসারে প্রাথমিকে এখন শূন্যপদ 11,765 । সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে । উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা 14,339টি। আদালতের নির্দেশে সেখানে কাউন্সেলিং চলছে । আর মাধ্যমিকে সাড়ে 13 হাজারেরও বেশি শূন্যপদ আছে । উচ্চ মাধ্যমিকে শূন্যপদের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি । আদালতে মামলা রয়েছে । আদালত নির্দেশ দিলে নির্দিষ্টভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করা হবে ।
আরও পড়ুন:
- বিজেপির তথ্য ভ্রান্ত, বিধানসভায় শূন্যপদের হিসেব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
- 'উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে ?' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর
- রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের 'অনুপ্রবেশকারী' বলে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর