কলকাতা, 14 জুলাই : রাজীব বন্দোপাধ্যায় বা সব্যসাচী দত্তর মতো প্রকাশ্যে বিদ্রোহী নেতাদের প্রতি "গরম"। আবার রথীন চক্রবর্তী বা বৈশালী ডালমিয়ার মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ নেতাদের প্রতি "নরম"। এই হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস বা অন্য যে কোনও দল থেকে আসা নেতাদের প্রতি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কৌশল ।
একদিকে নতুন আসা নেতাদের প্রথমেই দলে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ বা দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এর মধ্যেই একটা বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । অন্যদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা সৌমিত্র খাঁর মতো নেতাদের বিদ্রোহী মনোভাব যাতে অন্য নেতাদের মধ্যে না ছড়ায়, তার জন্য রথীন চক্রবর্তী বা বৈশালী ডালমিয়ার মতো নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । উল্লেখ্য, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এলেও কোনওদিন, এমনকি ভোট পরাজয়ের পরও, রথীন চক্রবর্তী বা বৈশালী ডালমিয়া কোনওরকম দলবিরোধী মন্তব্য করেননি ।
মঙ্গলবারই রাতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাওড়ায় একটি বৈঠক করেন । সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ি ও বৈশাখী ডালমিয়া ।
এই বিষয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, " দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নেতাদের বিরুদ্ধে দল যেমন খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবে । তেমন তৃণমূল থেকে আসা অনেক অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ নেতাদের আমরা আগামী নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাই । তবে "দলবদলু" নেতাদের নির্বাচনে প্রার্থী করার বিষয়ে দল এবার ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নেবে ।"
আরও পড়ুন,Dilip-Suvendu assembly meeting : বিধায়কদের ধরে রাখতেই কি রুদ্ধদ্বার বৈঠক দিলীপ-শুভেন্দুর ?
বিজেপি সূত্রে খবর, হাওড়ায় বিজেপির সংগঠনের কাজে এই সমস্ত অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ নেতাদের কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি । হাওড়া কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতাকে বিজেপি কাজে লাগাতে চাইছে । তাই তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে । বিজেপি সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা নেতানেত্রীদের নিয়ে একটা নরম-গরম পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি ।
দলবিরোধী মন্তব্য করা নেতাদের যেমন তালিকা তৈরি করা হয়েছে । তেমন দলের বিরুদ্ধে মুখ না খোলা নেতাদের তালিকাও তৈরি হয়েছে । বিজেপির 39 টি সাংগঠনিক জেলাতেই এই দ্বিতীয় তালিকায় থাকা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা নেতাদের পৌরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি কাজে লাগাতে চাইছে । তার জন্যই বিজেপি "দলবদলু" নেতাদের দলের মুখ হিসাবে সামনে না আনলেও পিছন থেকে সংগঠনের কাজে তাঁদের কাজে লাগাতে চাইছে । তাই তাঁদের পিছনে রেখে পরবর্তী ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি ।