কলকাতা, 8 নভেম্বর: এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য যে চিকিৎসকরা এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এই কাজ করছেন তার ফল মারাত্মক হবে বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার বিধানসভার বাইরে এই ইস্যুতে আবারও একবার অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই ইস্যুতে তিনি জানান, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যে কৌস্তুভ রায় এবং সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এসএসকেএম-এর উডবান ওয়ার্ডের অপব্যবহার করছে। ইডি'র অভিযুক্তকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে রেখে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দিয়ে মিথ্যা রিপোর্টও করানো হচ্ছে। এর ফল মারাত্বক হবে। যেসব চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য করছেন তাঁদের পরিণতিও ভালো হবে না।"
এই সম্পর্কে শুভেন্দু আরও বলেন, "সাউথ দমদম মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত ইডি-কে ফাঁকি দেওয়ার জন্য উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে আছেন। এমনকী রেশন দুর্নীতি, মিউনসিপ্যাল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, এসএসসি নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা, ব্যাংক তছরুপ যাঁরা করেছেন তারা অনৈতিকভাবে এসএসকেএমকে ব্যাবহার করছে। এর জন্য দায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজে।" এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, "জেল আর এসএসকেএম এখন সেফ হোম হয়ে গিয়েছে। দু'টোই এখন আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্সি জেলেও লুচি, আলুর দম, মাংস এসব খাওয়ানো হচ্ছে। বিজেপির কাছে সব খবর আছে। এসএসকেএমের সুপারকে দায়িত্ব নিয়ে এটা বন্ধ করতে হবে।" না হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি এই চক্র ভাঙতে পারে বলেও জানান শুভেন্দু।
বিরোধী দলনেতার দাবি, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরও বদলে দিতে পারে সরকার। তিনি বলেন, "এরা সব পারে। এমন কোনও কাজ নেই যা এরা করতে পারে না।" অন্যদিকে, বাঁকুড়ায় বিজেপি কর্মী খুনের বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কারণ হিসাবে তাঁর ব্যাখ্য, ওই ব্যক্তির দুটো হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। সুতরাং নিজের হাত বেঁধে গাছে ঝুলে পরা সম্ভব নয়।