কলকাতা, 13 এপ্রিল : নেতাজির নামে বাবা-মা নাম রেখেছিলেন সুভাষচন্দ্র ৷ তবে পদবিটা আলাদা ৷ তিনি দমদমের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অশীতিপর সুভাষবাবু ৷ হয়ে উঠলেন সকলের প্রেরণা ৷
একটা সময় কলেজের অধ্যাপক ছিলেন ৷ বর্তমানে দমদমে একাই থাকেন ৷ অবসর নিয়েছেন 22 বছর আগে ৷ তারপর থেকে পেনশনের টাকাই তাঁর সম্বল ৷ বয়সের সঙ্গে নানা রোগও শরীরে বাসা বেঁধেছে ৷ ওষুধেই চলে যায় পেনশনের টাকা ৷ তবে, চারিদিকে কী ঘটছে সেই খবর রাখেন তিনি ৷ তারপরই কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হওয়ার ইচ্ছে জেগে ওঠে ৷
10 হাজার টাকার চেক হাতে সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সকাল থেকে ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সুভাষবাবু ৷ অশক্ত শরীরে বাইরে এভাবে দাঁড়িয়ে কেন ? কারও কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি ৷ শুধু অপেক্ষা ছিল পুলিশের এক টহলদারি ভ্যানের ৷ অবশেষে পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে থামাতে বলেন সুভাষবাবু ৷ তা দেখে প্রথমে পুলিশ আধিকারিকরা ভেবেছিলেন, নিশ্চয় কোনও সাহায্য দরকার ৷ কিন্তু, গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে ভুল ভাঙে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার জন্য 10 হাজার টাকার চেক তাঁদের হাতে তুলে দেন সুভাষবাবু ৷
পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে বলেন, "আপনি তো অনলাইনে টাকাটা ট্রান্সফার করে দিতে পারতেন ৷" সুভাষবাবু বলেন, "বয়স হয়েছে ৷ অনলাইন ব্যাঙ্কিং পারি না ৷ তাই একটা সুরক্ষিত হাত খুঁজছিলাম ৷"