পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Gariahat Double Murder : ধৃত বাপি ও জাহিরকেও ঠকানোর তাল করেছিল মিঠুরা, জেরায় উঠে এল তথ্য - বাপি মণ্ডল

একটার পর একটা মোড় আসছে গড়িয়াহাটের খুনের ঘটনায় ৷ গতকাল রাতে অভিযুক্ত জাহির গাজি ও বাপি মণ্ডল লালবাজারে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা ৷ তাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে পুলিশকে সাহায্য করেছে দু'জন ৷ আজ আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে জাহির ও গাজিকে ৷

সুবীর চাকি
সুবীর চাকি

By

Published : Oct 23, 2021, 10:04 AM IST

কলকাতা, 23 অক্টোবর : গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুন কাণ্ডে নতুন তথ্য পেল গোয়েন্দারা ৷ গতকাল রাতভর জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা । জানা গিয়েছে, সুবীর চাকির কাছ থেকে শুধুমাত্র অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিসন্ধি ছিল না মিঠু হালদারের বড় ছেলে ভিকির । বাপি মণ্ডল ও জাহির গাজি গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, তাদেরকেও ঠকানোর পরিকল্পনা করেছিল ভিকি আর তার মা মিঠু হালদার ।

এই ঘটনা ঘটানোর জন্য 50 হাজার টাকায় রফা হয়েছিল ভিকি আর তাদের মধ্যে । পরে সেই টাকাও আত্মসাতের চেষ্টা করেছিল ভিকি । খুনের পর ভিকির থেকে তারা তাদের কাজের প্রাপ্য টাকা চাইলে তাদের পুরো টাকা দেয়নি মিঠু হালদারের বড় ছেলে । এক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের বিস্তর তথ্য দিয়ে এই ঘটনার তদন্তে একপ্রকার সাহায্য করছে ধৃত এই দু'জন ।

আরও পড়ুন : Gariahat Murder Case : তদন্তকারীদের ফাঁদে পা দিয়েই গ্রেফতার গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত বাপি ও জাহির

আজ তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করবে কলকাতা পুলিশ । তার আগে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় । ধৃত দু'জনকে আদালতে পেশ করে গোয়েন্দারা তাদের 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানাবে । আদালতকে গোয়েন্দারা জানাবেন, জোড়া খুনের ঘটনার মূল চক্রী ভিকি হালদার এখনও অধরা ৷ পুলিশি জেরায় ধৃত বাপি ও জাহির ভিকি সম্পর্কে বহু তথ্য জানিয়েছে গোয়েন্দাদের । ফলে কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুনের নীল নকশা যার হাতে তৈরি, সেই মিঠু হালদারের পাশাপাশি জাহির ও বাপিকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারলে তদন্তে সুবিধা হবে ৷ এই 3 জনকে দফায় দফায় জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা ৷ ফলে বহু অজানা তথ্য হাতে পাবেন গোয়েন্দারা । তাই এক্ষেত্রে লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের কাছে পুলিশি হেফাজত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

17 অক্টোবর রবিবার মধ্যরাতে 78 নম্বর কাঁকুলিয়া রোডের একটি বাড়ি থেকে সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ি চালক রবীন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ খোঁজ পায় মিঠু হালদারের ৷ 20 অক্টোবর খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাকে চেপে ধরতে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে পরিচারিকার ছেলে ভিকি । এখনও সে পলাতক । ভিকির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details