জলপাইগুড়ি, 16 অক্টোবর: আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় । কয়েকমাস পলাতক থাকার পর সুপ্রিম কোর্টে জামিন না পেয়ে অবশেষে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে সোমবার আত্মসমর্পণ করেন তিনি । এরপর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে দু'দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠান বিচারক।
গত 1 এপ্রিল জলপাইগুড়ির সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্যের জোড়া আত্মহত্যার মামলায় পলাতক ছিলেন প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা ৷ বাকি অভিযুক্তদের নামে পুলিশ চার্জশিট দিলেও মূল অভিযুক্ত সৈকতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়নি ৷ পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া সৈকতের বিরুদ্ধে তদন্তও শেষ হয়নি । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া তদন্ত সম্ভব নয় বলে পুলিশের দাবি । তাই সৈকতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়নি পুলিশের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছিল ।
হাইকোর্টে জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন সৈকত । নানা জায়গায় খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাঁকে । এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানান সৈকত । কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জামিন নাকচ করে তাঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয় । এরপরেই এ দিন সৈকত চট্টোপাধ্যায় আত্মসমর্পণ করতে আসেন । জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে এদিন আত্মসমর্পণ করতে এলে এদিন তদন্তকারী অফিসার সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের 10 দিনের রিমান্ডে চান। কিন্তু আদালত তাকে 2 দিনের পুলিশি রিমান্ড দেয়। আগামী 18 অক্টোবর ফের সৈকতকে আদালতে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি পলাতক ছিলেন না ৷ যতক্ষণ না আগাম জামিন নিয়ে কোনও নির্দেশ আদালত দিচ্ছে, ততক্ষণ কোনও অভিযুক্তকে পলাতক বলা যাবে না ৷ তাই পলাতক বলে তাঁর মানহানি করা হয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তিনি নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন ৷ এর আগে তিনি পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেও সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ৷ পাশাপাশি তিনি নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন জলপাইগুড়ি তৃণমূলের এই যুব নেতা ৷