কলকাতা, 6 জুন: রাখে হরি মারে কে! ওড়িশার বালাসোরে অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর মৃতদেহ হিসেবে ঠাঁই হয়েছিল মর্গে ৷ কিন্তু মর্গেই মিলল প্রাণ বিশ্বজিৎ মালিকের ৷ অবাক করার মতো ঘটনা হলেও এটাই সত্যি ৷ মৃত্যুর মুখ থেকে ছেলে বিশ্বজিতের জীবন ফিরে পেয়েছেন হাওড়ার হেলারাম ৷ চিকিৎসাধীন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ৷
জানা গিয়েছে, কাজের সূত্রে করমণ্ডল চেপে হেলারাম মালিকের ছেলে বিশ্বজিত মালিক চেন্নাই যাচ্ছিলেন। স্টেশনে গিয়ে তিনি নিজেই ছেলেকে ট্রেনে তুলে দিয়েছেন ৷ সেই ট্রেনই ওড়িশার বালাসোরে বাহানগা বাজারের কাছে ভয়ানক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় ৷ নিখোঁজ, মৃত, আহতের খবরে নিজের 24 বছরের ছেলের কোনও খোঁজই পাচ্ছিলেন না বাবা হেলারাম। তবে মনে মনে বিশ্বাস রেখেছিলেন, "ছেলের কিছু হবে না"। একাধিকবার ফোন করে গেলেও সেই ফোনের কোনও উত্তর তিনি পাননি ৷ তাই স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সোজা রওনা দিয়েছিলেন বালাসোরের উদ্দেশ্যে।
অন্যদিকে, সেই সময় একাধিক লাশের নিচে পড়ে ছিলেন বিশ্বজিৎ ৷ আর পাঁচটা দেহর মতোই তাঁর ঠাঁই হতে যাচ্ছিল বাহানগার অস্থায়ী মর্গে। ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কার্যত অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। ডান হাত দিয়ে ঝরঝর করে রক্তও বেরোচ্ছিল তাঁর ৷ কিন্তু তারপরেই যেন মিরাকল ঘটে ৷ মর্গে যখন অন্যান্য দেহ-র সঙ্গে বিশ্বজিতের দেহও পড়ে রয়েছে সনাক্তকরণের জন্য ৷ সেই সময় হঠাৎই একটি লাশকে নড়ে উঠতে দেখেন উপস্থিত উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা ৷ তারপর তাঁরা খেয়াল করেন হাত নাড়ানোর চেষ্টা করছেন বিশ্বজিত ৷ যদিও তখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি তাঁর ৷