কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর : কলকাতার NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক কর্তব্যরত ফার্মাসিস্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক ট্রেনি ডাক্তারের বিরুদ্ধে । গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে । ঘটনায় অন্যান্য ফার্মাসিস্টরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানায় । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এন্টালি থানায় ওই ট্রেনি ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে । কিন্তু এখনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । তাই অভিযুক্ত ডাক্তারের গ্রেপ্তারির দাবিতে আন্দোলনে শামিল হলেন অন্যান্য ফার্মাসিস্টরা । আন্দোলনরত ফার্মাসিস্টদের তরফে অরূপ পাটসা জানান, CCTV-র ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ফার্মাসিস্ট জয়দেব কুণ্ডুকে মারছেন অভিযুক্ত ওই ডাক্তার ।
শুক্রবার অভিযুক্ত ওই ট্রেনি ডাক্তারকে গ্রেপ্তারের জন্য 12 ঘন্টা সময় দিয়েছিলেন আন্দোলনরত ফার্মাসিস্টরা । এমনকি প্রশাসনকে তাঁরা হুঁশিয়ারিও দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ওই ডাক্তারকে গ্রেপ্তার না করা হলে কর্মবিরতির পথে যেতে পারেন তাঁরা । তবে আজ NRS হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফার্মাসিস্টদের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না সেই সব বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁরা ।
এবিষয় অরূপ পাটসা বলেন, "কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য কিছু করছেন না । CCTV-র ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে জয়দেব কুণ্ডুকে মারা হচ্ছে । এটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে শুধুমাত্র ওই অভিযুক্ত ডাক্তার বলে ।" অরূপবাবু আরও বলেন, "জয়দেব কুণ্ডু যদি ডাক্তার হতেন এবং অভিযুক্ত ওই ডাক্তার যদি জয়দেব কুণ্ডু হতেন, তাহলে এতদিনে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হত । হয় অভিযুক্তকে সাসপেনশনে অথবা পুলিশের হেপাজতে রাখা হত । কিন্তু যেহেতু অভিযুক্ত ডাক্তার, সেজন্য এসব কিছুই হচ্ছে না । আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আসন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ।"
আজকের বৈঠকে আন্দোলনরত ফার্মাসিস্টদের প্রতিনিধিদের দাবি, এক বছরের জন্য অভিযুক্ত ডাক্তারকে সাসপেনশনে রাখতে হবে । পাশাপাশি ভবিষ্যতে যদি আক্রান্ত জয়দেব কুণ্ডুর কোনও শারিরীক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়, তাহলে তাঁর চিকিৎসার সমস্ত খরচ দিতে হবে অভিযুক্ত ওই ডাক্তারকে । এছাড়াও ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে ওই ট্রেনি ডাক্তারকে ।
তবে ফার্মাসিস্টদের প্রতিনিধিদের এসব দাবি মেনে নিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । CCTV ফুটেজের বিষয়ে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "ফুটেজে যেটা দেখা যাচ্ছে তা স্পষ্ট নয় । অনেক লোকের ভিড়ের মধ্যে বোঝা যাচ্ছে না কী হয়েছে ।"