পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সম্পত্তির লোভে খুন যোধপুর পার্কের বৃদ্ধা, গ্রেপ্তার মালি ও দারোয়ান

যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা মৃত্যু রহস্যের সমাধান হল দু'দিনেই। বৃদ্ধার বাড়ির মালি ও দারোয়ানকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, তারা খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

ছবিটি প্রতীকী (সৌজন্য : পিক্সাবে)

By

Published : Apr 7, 2019, 2:44 AM IST

কলকাতা, 7 এপ্রিল : যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা খুনের কিনারা হল দু'দিনের মধ্যে। ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই। নাম স্বপন মণ্ডল ও সঞ্জীব দাস। তাদের একজন বৃদ্ধার বাড়িতে মালির কাজ করে, অন্যজন ওই বাড়ির দারোয়ান। গতকাল কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, দু'জনেই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, সম্পত্তির লোভেই এই খুন।

কলকাতার অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত যোধপুর পার্ক। ১৪১ নম্বর যোধপুর পার্কে থাকতেন শ্যামলী ঘোষ। একাই। বয়স ৭৫। বিয়ে করেননি। তাঁকে শেষ দেখা গেছিল মঙ্গলবার। অন্যদিনের মতো শুক্রবারও তাঁর ফ্ল্যাটে খবরের কাগজ দিতে যান পরিচিত হকার। দেখতে পান, কাগজ যেমন দিয়ে গেছিলেন তেমনই রয়েছে। শুরু করেন ডাকাডাকি। দরজা খোলেননি শ্যামলী। এবার ওই কাগজ বিক্রেতা ডাকেন প্রতিবেশীদের। তারস্বরে চিৎকারের পরেও দরজা না খোলায়, ভেঙে ফেলা হয় সেটি। দেখা যায়, খাটের উপর পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। সংজ্ঞাহীন অবস্থায়। এরপরেই স্থানীয়রা খবর দেন লেক থানায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। লেক থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্তকারী অফিসারের জহুরি চোখ বলে দেয়, এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। কারণ মৃতের গলায় রয়েছে দাগ। বুকের ওপর চাপানো ছিল বালিশ।

পুলিশের ধারণা ছিল, তাঁর গলায় গামছা জাতীয় কিছু দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য নাকে বালিশ চাপা দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় মৃতের বোনকে। জানা যায়, ওই বাড়িতে একাই থাকতেন বৃদ্ধা। গ্রাউন্ড ফ্লোর অন্যের মালিকানাধীন। একটি ফ্লোর পেইং গেস্টদের ভাড়া দেওয়া হয়।

বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অপরাধ প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি। আসেন DC সাউথ মিরাজ খালিদ। খুনের তদন্তে লেক থানাকে সাহায্য করে হোমিসাইড শাখা। পুলিশের ধারণা ছিল, পরিচিত কেউই করেছে এই খুন। সন্দেহের তালিকায় ছিল বৃদ্ধার মালি এবং দারোয়ান। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই স্বীকার করে নেয় খুনের কথা।

ABOUT THE AUTHOR

...view details