পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

"সরকার দোষ করেছে আর আমি বলির পাঁঠা", বলছেন তৃণমূল নেতা

সম্পূর্ণ হয়েছে 100 দিনের কাজ । তবুও মিলছে না টাকা । তাই টাকা চেয়ে 100 দিনের কাজের সুপারভাইজ়ার তথা তৃণমূল নেতা আনন্দ পোদ্দারের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন দুই মহিলা । ময়নাগুড়ির শহিদগড়পাড়ার ঘটনা ।

By

Published : Jun 25, 2019, 5:46 AM IST

Updated : Jun 25, 2019, 8:25 AM IST

ধরনায় মহিলারা

ময়নাগুড়ি, 25 জুন : সম্পূর্ণ হয়েছে 100 দিনের কাজ । তবুও মিলছে না টাকা । তাই টাকা চেয়ে 100 দিনের কাজের সুপারভাইজ়ার তথা তৃণমূল নেতা আনন্দ পোদ্দারের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন দুই মহিলা । ময়নাগুড়ির শহিদগড়পাড়ার ঘটনা ।

ময়নাগুড়ি শহিদগড়পাড়ার বাসিন্দা চিত্রা বোস ও গৌতমী দেব । 100 দিনের কাজ করার পরও দীর্ঘ একবছর ধরে তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা । এমন কী, চিত্রার জব কার্ডটিও রয়েছে সুপারভাইজ়ারের কাছে । একথা স্বীকার করেন আনন্দবাবু । বলেন, "ওনার জব কার্ড যে আমার কাছে ছিল সেকথা ঠিক । কিন্তু আমি তা ফেরত দিয়ে দিয়েছি ।"

আনন্দ পোদ্দার

চিত্রা ও গৌতমীর অভিযোগ, কাজের টাকা চাইতে গেলেই আনন্দ সিসি রোডের টাকার দোহাই দিচ্ছেন । বলছেন, ওই টাকা ফেরত না দিলে মিলবে না 100 দিনের কাজের টাকা । কিন্তু কী এই সিসি রোডের টাকা ? চিত্রা ও গৌতমী জানান, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একদিন হঠাৎ 5000 টাকা ঢোকে । তাঁদের ধারণা ছিল 100 দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে । কিন্তু আনন্দবাবুর কাছ থেকে জানতে পারেন, ওটা 100 দিনের কাজের টাকা নয় । ওই টাকা ছিল সিসি রোডের কাজের টাকা । এরপর আনন্দবাবুর কথামতো সেই টাকা তুলে দিয়ে দেন চিত্রা ও গৌতমী ।

ফের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাঁরা । অভিযোগ, এরপর থেকে আর 100 দিনের কাজ দেওয়া হয়নি তাঁদের । উলটে আগের 100 দিনের কাজের টাকাও দিতে অস্বীকার করেন আনন্দবাবু । গতকাল সেই টাকার দাবিতেই ধরনায় বসেন চিত্রা ও গৌতমী ।

এবিষয়ে আনন্দবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাবলিকের এক পয়সাও তিনি নেননি । বলেন, "আসল কথা হল সরকার করেছে দোষ । আর বলির পাঁঠা আমি । এবারেও যেমন দুদিন কাজ করার পর সরকার বলেছে আর কাজ করাবে না । এবারে বলুন আমি কী করব ? আমাকে যদি টাকা না দেওয়া হয় তাহলে কোথা থেকে দেব ।"

Last Updated : Jun 25, 2019, 8:25 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details