জলপাইগুড়ি, 15 জুন: যেখানে প্রার্থী নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে দর কষাকষি চলছে, সেখানে আসন পেয়েও মনোনয়ন জমা করলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রার্থী । এর জেরে বিপাকে পড়েছে শাসকদল । ময়নাগুড়ির জেলা পরিষদের 9 নম্বর আসনে শিবম রায় বসুনিয়ার নাম প্রার্থী হিসেবে রয়েছে ৷ তবে শেষ মুহুর্তে তিনি জানিয়েছেন, প্রার্থী পদে মনোনয়ন দিচ্ছেন না । ময়নাগুড়ির 9 নম্বর আসনে প্রার্থী মনোনয়ন জমা না-করায় নতুন প্রার্থীর সন্ধান করছে তৃণমূল ।
ময়নাগুড়ির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন শিবম রায় বসুনিয়া । 2018 সাল থেকে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে সফলভাবে কাজ পরিচালনা করেন তিনি ৷ কিন্তু তারপরেও ময়নাগুড়ি ব্লকের নেতাদের সঙ্গে তাঁর কোন্দল বাঁধে ৷ সম্প্রতি জটিলেশ্বর মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের টেন্ডার নিয়ে তাঁদের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে । শিবমের অভিযোগ, নানাভাবে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে । কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না । ফলে ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি নিজেকে অপদস্ত করতে চান না ।
শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, "আমি জেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী পদের জন্য মনোনয়ন দিচ্ছি না । আমি দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ । আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয় না । দলীয় নেতৃত্ব আমার কথা কোন গ্রাহ্যই করে না । আমি রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাড়াচ্ছি না ঠিকই, কিন্তু প্রার্থী পদ থেকে সরে দাড়াচ্ছি ।" এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলার চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, "শিবম মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন না জানা নেই ৷ আমি ফোনে কথা বলে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছি ।"
আরও পড়ুন:নন্দীগ্রামে সুফিয়ান প্রার্থী হতেই দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝোলাল তৃণমূলই
2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের আসন ছিল 19টি । জলপাইগুড়ি জেলায় 7টি ব্লক থাকলেও বানারহাট ও ক্রান্তি নতুন ব্লক হয়েছে । সেই ক্ষেত্রে জলপাইগুড়ির জেলা পরিষদের 19টি আসন বেড়ে হয়েছে 24 । 2019 সালে জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসে ৷ যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের 19 জনের মধ্যে 7 জনকে এবার টিকিট দেওয়া হয়েছে ৷ তবে বাকিদের টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস । 24টি আসনের মধ্যে 7 জন পুরনো জয়ী প্রার্থী ছাড়া বাকি 17 জন নতুন প্রার্থী ।