পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

চা শ্রমিক মহল্লায় করোনা ছড়ালে পরিস্থিতি খারাপের আশঙ্কা, দ্রুত টিকাকরণের আর্জি

উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলা মিলে মোট 298 টি বড় চা বাগান আছে । স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক মিলে প্রায় 3 লাখ 40 হাজার 632 জন কাজ করেন । কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তাঁদের টিকাকরণ করা হয়নি । সেক্ষেত্রে, তাঁদের অবিলম্বে টিকা না দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে দাবি চা বাগান মালিকদের ।

চা শ্রমিক
চা শ্রমিক

By

Published : Jun 12, 2021, 8:31 PM IST

জলপাইগুড়ি, 12 জুন : উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রয়েছে চা শিল্পের । আর এই শিল্পের মূল মেরুদণ্ড চা শ্রমিকরা । প্রায় কয়েক লাখ শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত । কিন্তু, তাদেরই এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ শুরু হয়নি । অবিলম্বে চা শ্রমিকদের টিকাকরণ শুরু না হলে শ্রমিকরা সুপার স্প্রেডার হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন চা বাগানের মালিকরা । অবিলম্বে শ্রমিকদের গণ টিকাকরণের আর্জি জানিয়েছে চা বাগান মালিক সংগঠনগুলো ।

উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলা মিলে মোট 298 টি বড় চা বাগান রয়েছে । দার্জিলিং পাহাড়ে রয়েছে 86 টি বড় চা বাগান । আর তরাই বিশেষ করে দার্জিলিং জেলার সমতল এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা মিলে 66টি বড় চা বাগান আছে । উত্তরবঙ্গে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক মিলে প্রায় 3 লাখ 40 হাজার 632 জন কাজ করে । উত্তরবঙ্গের চা বাগানের জমির পরিমাণ 114241.59 হেক্টর ।

জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী জানান, চা বাগানে যাতে গণ টিকাকরণ করা যায়, সেই দাবি জানিয়েছি । কারণ জলপাইগুড়ি জেলায় 25 হাজার ক্ষুদ্র চা চাষি রয়েছেন । শ্রমিক রয়েছে প্রায় 60 হাজার । এছাড়াও প্রজেক্ট বাগান রয়েছে প্রায় 200 টি। উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র চা বাগানের সংখ্যা (টি বোর্ডের আইডেন্টিফিকেশন কার্ড প্রদানের ভিত্তিতে) 37 হাজার 365 টি । ক্ষুদ্র চা চাষের জমির পরিমাণ 33 হাজার 711.27 হেক্টর । বট টি লিফ ও সেলফ হেল্প গ্রুপের ফ্যাক্টরি রয়েছে মোট 178 টি । উত্তরবঙ্গে প্রায় 11 হাজার জন স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিক ক্ষুদ্র চা চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ।

চা শ্রমিক মহল্লায় করোনা ছড়ালে পরিস্থিতি খারাপের আশঙ্কা, দ্রুত টিকাকরণের আর্জি

আরও পড়ুন,Covid-19 : বরাদ্দ মাত্র পঞ্চাশ শতাংশ শ্রমিক, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতির মুখে বাংলার চা শিল্প

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন । বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, "আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে চা শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি । জেলাশাসক অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি দেখছেন । আমাদের বলেছেন, প্রথমে পাইলট হিসেবে 5টি ক্যাম্প করা হবে । আমাদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেছেন । আমরা খুব তাড়াতাড়ি সেই তালিকা দেব । আমরা চাইছি জলপাইগুড়ি সদরে দু'টি ও ময়নাগুড়িতে তিনটি ক্যাম্প করব । যাতে চা শ্রমিকরা সুপার স্প্রেডার না হতে পারে । "

ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জয়ন্ত বণিক বলেন, "খুব তাড়াতাড়ি যদি চা শ্রমিকদের ভ্যাকসিন না দেওয়া হয় তাহলে একটা মারাত্মক বিষয় হতে পারে । কারণ একবার যদি চা মহল্লায় করোনার প্রকোপ দেখা যায় তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে । চা শ্রমিকদের সুপার স্প্রেডার হিসেবে গণ্য করা হবে । এই মুহূর্তে চা শ্রমিক মহল্লায় সেই অর্থে করোনার প্রভাব নেই কিন্তু একবার সংক্রমণ ধরা পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগবে না । আমরা তাই চাইছি ক্ষুদ্র চা শ্রমিক ও প্রজেক্ট গার্ড সহ সব চা শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হোক ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details