জলপাইগুড়ি, 13 ডিসেম্বর: পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বচসার জেরে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল টুনা নায়েককে । খুনের অভিযোগ উঠেছিল সঞ্জীব মুণ্ডার বিরুদ্ধে । প্রায় দেড় বছর পর সঞ্জীবকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করল আদালত । বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালত টুনা নায়েক খুনের মামলায় সঞ্জীবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজা শুনিয়েছে ।
পাওনা টাকা চাওয়ায় পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন, যাবজ্জীবন
সঞ্জীবের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে টুনাকে মারধর করত । বিবাদ চরমে ওঠে 8 জুন । বিবাদের জেরে সেদিন ভোরে টুনার পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে সঞ্জীব । পরে সঞ্জীবের বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় টুনার দেহ ।
ঘটনাটি ঘটেছিল 2017 সালের 8 জুন । চ্যাংমারি চা বাগানের বাসিন্দা ছিলেন টুনা নায়েক (55)। রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে সঞ্জীবের সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করত সে । কাজের সূত্রে রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে সঞ্জীবের বাড়িতে থাকত টুনা । সঞ্জীব তার বাড়িতে রান্নাঘরে টুনার থাকার ব্যবস্থা করে দেয় । সঞ্জীবের কাছেই পারিশ্রমিকের টাকা রাখত টুনা । 2017 সালের 6 জুন বাবাকে কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে আসতে বলে টুনার ছেলে সুরজ নায়েক । টুনা ছেলেকে জানায় সঞ্জীবের কাছে তাঁর কিছু টাকা রাখা আছে । সেই টাকা পেলেই সে বাড়ি ফিরে যাবে । কিন্তু সঞ্জীবের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে টুনাকে মারধর করত । বিবাদ চরমে ওঠে 8 জুন । বিবাদের জেরে সেদিন ভোরে টুনার পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে সঞ্জীব । পরে সঞ্জীবের বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় টুনার দেহ । স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ । পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে সঞ্জীব ।
9 জুন সুরজ খবর পায় তাঁর বাবার মৃতদেহ সঞ্জীবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে । সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাঁর বাবাকে খুন করেছে সঞ্জীব । এরপর বানারহাট থানায় সঞ্জীবের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে সুরজ । সেইদিনই সঞ্জীবকে আদালতে তোলে পুলিশ । সরকারি আইনজীবী প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আজ জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেসন জাজ (ফাস্ট কোর্ট) অনির্বাণ চৌধুরি সঞ্জীবকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন । সেই সঙ্গে 10 হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত ।