জলপাইগুড়ি, 18 নভেম্বর : করোনা সংক্রমণ এখনও পুরোপুরি যায়নি, এর মধ্যে ডেঙ্গির থাবা জলপাইগুড়ি শহরে । স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত শহরবাসী । এখানে 15, 16, 17 নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । পৌরনিগমের প্রথম কাজ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া ও সুরক্ষিত রাখা, তাই বর্তমান ডেঙ্গির আক্রমণে পৌরনিগমের উদ্বেগ বেড়েছে, জানালেন জলপাইগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চট্টোপাধ্যায় ৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি নিজে আজ এই ওয়ার্ডগুলিতে যাবেন ৷
তিনি জানালেন, পুজোর মরশুমের পর করোনা সংক্রমণ বাড়বে এমন আশঙ্কা ছিল ৷ কিন্তু নতুন করে এডিস মশার (Aedes Mosquito) কামড়ের ফলে ডেঙ্গি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসনকে ৷ বলেন, "এক সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন 4 জন ৷ 15 নম্বর ওয়ার্ডে এক কিশোর, 16 নম্বর ওয়ার্ডে একজন আর 17 নম্বর ওয়ার্ডে 2 জন ৷" আক্রান্তদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে ।
সৈকত জানান, কেন এই চারজন আক্রান্ত হলেন, তার উৎস খুঁজে বার করতে হবে ৷ অর্থাৎ এরা জলপাইগুড়ি শহরে আক্রান্ত হয়েছেন নাকি শহরের বাইরে কোথাও গিয়ে আক্রান্ত হয়ে এখানে এসেছেন ৷
শহরবাসীর কাছে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন
- বাড়ির আশপাশে কোথাও পরিষ্কার জল জমতে দেবেন না ৷ কারণ, সেখানেই এডিস মশার লার্ভা জন্মায় ৷ তাই পচা বা নালার জল নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই ৷
- শহরবাসীকে মাথায় রাখতে হবে পড়ে থাকা টায়ার, বাড়িতে টব, পুজো করার ছোট ঘট, বেড়ায় লাগানো বাঁশের আগায় পরিষ্কার জল জমে থাকে ৷ এগুলো যে ভাবে হোক বের করে দিতে হবে ৷
- যদি কোনও ভাবে জমা জল সরানো না যায়, তাহলে সেখানে পোড়া মোবাইল বা কেরোসিন দিয়ে দিন ৷ এতে মশার লার্ভাটা মরে যাবে ৷
- দয়া করে, মশারি ছাড়া শোবেন না ৷