গ্যাংটক ও জলপাইগুড়ি, 18 জুন : সিকিমে বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সিকিম সহ তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা । আটকে 300 পর্যটক । ইতিমধ্যেই তাঁদের উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন । পাশাপাশি রাজ্যের তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
সিকিমে ক্রমাগত বৃষ্টি হওয়ায় জেমু সহ বেশ কিছু এলাকায় ধস নামে । তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় কিছু রাস্তা । ইতিমধ্যেই সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব । ধস সরিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালানো গেলেই পর্যটকদের গ্যাংটকে নামিয়ে আনা হবে ।
সিকিম প্রশাসনের কর্তারা জানান, দ্রুত ধস সরিয়ে রাস্তা খোলার কাজ চলছে । সমস্ত পর্যটকদের নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে । ইতিমধ্যেই কিছু রাস্তা খুলেছে । তবে, বহু রাস্তা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এ নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ।
অন্যদিকে সিকিমের বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে জল বেড়ে যায় । তাই আজ গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয় । 4571.52 কিউমেক জল ছাড়া হয় । আর তাতেই ঘটে বিপত্তি । তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঢুকে পড়ে তিস্তার জল । প্লাবিত হয় মালবাজার মহকুমা ও ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা । জলবন্দী হয়ে পড়ে অনেক পরিবার ।
সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তিস্তানদীর দোমহনি থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত এলাকায় আজ হলুদ সংকেত জারি করে সেচ দপ্তর । পাশাপাশি নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে ।