জলপাইগুড়ি, 12 জুলাই :চা বলয়ে আধিপত্য বজায় রাখল ঘাস-ফুল । জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয় তৃণমূলের । এক কথায় ধরাশায়ী বিজেপি । নাগরাকাটা,বানারহাট, মালবাজার এবং মেটেলির মতো চা-অধ্যুষিত চারটি ব্লকের সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই সবুজ ঝড় । বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে বিজেপি গুরুত্ব পেলেও, পঞ্চায়েত দখলেই রাখলো তৃণমূল ।
চা শ্রমিকদের দুরবস্থাকে টার্গেট করে জলপাইগুড়িতে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে জয় আনে বিজেপি । পঞ্চায়েত ভোটে সেই চা শ্রমিকদের উন্নয়নকে সামনে রেখেই প্রচারে ঝড় তোলে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ জয় নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন , " সরকারের উন্নয়নকে আমরা তুলে ধরেছি। চা বাগানের মানুষের জন্য রাজ্য সরকার যা করেছে তার প্রচার করেছি। মমতার উদ্যোগেই চা শ্রমিকদের মজুরি 67 টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 232 টাকা হয়েছে। চা শ্রমিকরা নিজেরা তৃণমূলের চেষ্টা দেখেছেন। "
চা বলয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের কৃতিত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ থেকে নিজের নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক । সেই সময়ই চা বলয়ে গিয়ে অভিষেকে প্রচারে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করে বলেই মনে করা হচ্ছে। মহুয়া গোপ জানাচ্ছেন,অভিষেক ডুয়ার্সবাসীকে দেওয়া কথা রেখেছেন । চা শ্রমিকদের উন্নয়ন তার বড় প্রমাণ । তিনি বলেন, " বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূল 7 টির মধ্যে 3 টিতে জয় পা,য় 4 টি আসনে হেরে যায় ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলের উপরই বিশ্বাস রেখেছে ।"
আরও পড়ুন: Sitaram Yechury: 'বাংলায় গণতন্ত্রকে খুন করছে তৃণমূল', সুর চড়ালেন সীতারাম
যদিও পঞ্চায়েত ভোটে চা বলয়ে বিজেপির হার অবাক করার মতোই । হারের কারণ হিসেবে প্রার্থী বাছাইয়ের গাফিলতিকে মেনে নিচ্ছে জেলা-বিজেপি । জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর বলেন, " বিজেপির এক শ্রেনীর কর্মীদের পঞ্চায়েতের ভোট প্রচারে দেখাই যায় নি। প্রার্থী বাছাই এর ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয়েছিল। তারপরেও আমরা ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের থেকে ভালো ফল করেছি ।" অন্যদিকে, শুধু জলপাইগুড়ি নয় কোচবিহারেও পঞ্চায়েতে বিপুল জয় তৃণমূলের ।