জলপাইগুড়ি, 30 জুলাই : বর্তমানে বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কোরোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যে বিশ্বে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে 16 মিলিয়নের গণ্ডি। এই ভাইরাসকে রুখতে চেষ্টা করেছে চলেছেন গবেষকরা। যতদিন না পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা ওষুধ না বেরোয় ততদিন এই রোগকে জবাব দিতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একমাত্র উপায় সুষম খাদ্যের সেবন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইডেট, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও ফ্যাট জাতীয় খাদ্য। সেই মতো হাসপাতালগুলিতে কোরোনা আক্রান্তদেরও সুষম খাবার পরিবেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি জলপাইগুড়ির সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কোরোনায় আক্রান্তরা। তাঁদের অভিযোগ, সকালের খাবারে দেওয়া হচ্ছে লুচি, তরকারি। যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। পাশাপাশি কোয়ারানটিন সেন্টারে দেখা নেই চিকিৎসকদেরও।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় রানিনগরের পঞ্চায়েত ট্রেনিং সেন্টারের একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোরোনা আক্রান্তদের সকালের খাবারে লুচি আর তরকারি দেওয়া হচ্ছে। এবং ভিডিয়োতে কোডিভ আক্রান্তরা হাসপাতালের অব্যবস্থা ও অপরিচ্ছন্নতার অভাবের অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন কোভিড হাসপাতালের রোগীদের সকালের খাবারে পাউরুটি, কলা ও ডিম দেওয়া হলেও, তা পরিবেশন করা হচ্ছে খবরের কাগজ ও পলিথিনে মুড়ে। এই ছবি ভাইরাল হতেই সরগরম হয়ে ওঠে বিভিন্ন মহল। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় এই সব ছবি পোস্ট করে সরব হয়েছেন, CPI(M) এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং সাংসদ জন বারলা। রোগীদের দাবি, "আমাদের অনেক কিছু খাবার দিতে হবে না। কিন্তু যা দিচ্ছে সেটার মান যাতে ভালো হয়। নিম্নমানের খাবার খেলে আমরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ব।" কারও কারও মতে এর থেকে বাড়িতে থাকতেই বেশি ভালো থাকতেন।
রাজ্যজুড়ে সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টার ও কোভিড হাসপাতালগুলির অব্যবস্থা নিয়ে বেশকিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। তবে এই ভাবে ভিডিয়ো তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক জেলা প্রশাসনের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন। তিনি জানান, "আমরা খাবার সরবরাহ করি না। খাবার সরবরাহ করে জেলাশাসকের দপ্তর। " এদিকে কোভিড হাসপাতালের ছবি কীভাবে বাইরে গেল তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
কোরোনা আক্রান্তদের প্রোটিন জাতীয় খাবার দেবার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে লুচি আর তরকারি এমনই অভিযোগ। কোরোনা আক্রান্তদের ডাক্তার দেখতে আসছে না বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই CPI(M) এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও সাংসদ জন বারলা সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। কোভিড হাসপাতালের দুরাবস্থার চিত্র ভিডিয়ো তুলে সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরা হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে একসঙ্গে অনেক রোগী চলে আসার ফলে এমন সমস্যা হয়েছে।এদিকে কোভিড হাসপাতালের ছবি কি করে বাইরে আসছে তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি জেলাজুড়ে বেড়েই চলেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা তাই আক্রান্তদের রাখতে হিমসিম অবস্থা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের।