পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ঘর নয় মিলেছে শুভেচ্ছাবার্তা, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অভিযোগ গীতাঞ্জলির উপভোক্তাদের - not getting home

ঘর মেলেনি কিন্তু মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা শুভেচ্ছাবার্তা । গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানালেন জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গীতাঞ্জলি প্রকল্পের উপভোক্তারা ।

ঘর না মিললেও মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা

By

Published : Jul 10, 2019, 3:22 AM IST

জলপাইগুড়ি, 10 জুলাই : ঘর না মিললেও মিলল মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা । জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের 17 জন বাসিন্দা গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর না পেলেও মুখ্যমন্ত্রীর সই করা শুভেচ্ছাবার্তা পেলেন । শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে মানেই কাগজে কলমে সরকারি প্রকল্পের ঘরও তাঁদের দেওয়া হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে । এখন উপভোক্তাদের মনে প্রশ্ন তাঁদের জন্য বরাদ্দ অর্থ গেল কোথায় ? ঘরগুলোই বা গেল কোথায়? গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি দিয়ে নিজেদের অভিযোগের কথা জানান তাঁরা ।

দেখুন ভিডিয়ো

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর দেওয়ার জন্য 2017 সালে সদর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের 17 জন বাসিন্দার একটি নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল । তাঁদের কাছ থেকে প্রকল্পের জন্য জমির কাগজপত্র থেকে শুরু করে, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ইত্যাদি যা যা নথি প্রয়োজন সবকিছুই নেওয়া হয়েছিল । কিন্তু ঘর হাতে না পেলেও হঠাৎ এ বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা শুভেচ্ছাবার্তা পান তাঁরা ।

17 জন উপভোক্তার মধ্যে 4 জন শুভেচ্ছাবার্তা গ্রহণ করেছেন । কিন্তু বাকি 13 জন ওই শুভেচ্ছাবার্তা গ্রহণ করেননি ।

উপভোক্তাদের বক্তব্য, এই প্রকল্প অনুযায়ী 1 লাখ 20 হাজার টাকা দেবার কথা । কিন্তু কিছুই তাঁরা পাননি । তাঁদের নামে শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে মানে সরকারিভাবে তাঁরা ঘর পেয়ে গেছেন । এক্ষেত্রে বড় ধরনের আর্থিক দুর্নীতি রয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা । তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ।

এই বিষয়ে সদর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কৃষ্ণা রায় বর্মণ দাবি করেছেন, ওই সময় দু'টি নামের তালিকা রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল । একটি তালিকা ব্লকের, অন্যটি সাংসদের থেকে এসেছিল । ওই 17 জন কোন তালিকায় ছিলেন তা না দেখে কিছু বলা সম্ভব নয় ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details