জলপাইগুড়ি, 13 জুন: এ বারের গরম এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, ভরা গ্রীষ্মে দোকানে দেখা গিয়েছে এসি-র আকাল ৷ এসি-র বিক্রি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, ক্রেতারা টাকা দেওয়ার প্রায় এক মাস পর বাড়িতে এসি পেয়েছেন ৷ ইনস্টল হয়েছে তারও পরে ৷ শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও দেখা গিয়েছে একই ছবি ৷ পাহাড় ঘেরা জলপাইগুড়িতেও পারদ এতটাই চড়েছে যে, হুড়মুড় করে বেড়েছে এসি বিক্রি ৷ জলপাইগুড়ি শহরে দৈনিক গড়ে প্রায় 250টি করে এসি বিক্রি হয়েছে ৷ আর বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিকে না জানিয়েই বিদ্যুতের লোড বেড়ে চলায় বিকল হচ্ছে ট্রান্সফরমার ৷ হচ্ছে লোডশেডিং ৷ এই পরিস্থিতিতে তাই কার বাড়িতে কত লোড পড়ছে, তা জানতে সমীক্ষা চালানোর কথা ভাবছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ৷
প্রতিদিন জলপাইগুড়ি শহরে মুড়িমুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে বাতানুকূল যন্ত্র এবং ঘর ঠান্ডা রাখার অন্যান্য মেশিন। প্রতিদিন গড়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হত, তার কয়েক গুণ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে বাড়ছে ওয়ার্কলোড । বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে প্রতিদিন লোড কাট করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তরফে ।
এই ধরনের তীব্র গরমের সঙ্গে পরিচিত নন উত্তরবঙ্গের মানুষ । পাহাড়ে সবে বৃষ্টি শুরু হলেও গত কয়েকদিনে গড়ে 37-39 ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঘোরাফেরা করেছে তাপমাত্রার পারদ ৷ অচেনা এই গরম সহ্য করতে না পেরে শহরবাসীর একাংশ বাতানুকূল যন্ত্র কিনতে বাধ্য হয়েছেন । রোজ বাড়িতে বাড়িতে বসছে এসি ৷ কিন্তু তা ঘূণাক্ষরেও জানতে পারছে না বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি । ফলে হঠাৎ করে লোড বেড়ে যাচ্ছে । একটি ফিডার লাইনে বছরের এই সময়টায় 120 অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ পরিবাহিত হলেও এখন তা হচ্ছে 151 অ্যাম্পিয়ার । সেই কারণেই ট্রান্সফরমারগুলি অতিরিক্ত লোডের কারণে বিকল হয়ে যাচ্ছে ।
জলপাইগুড়ি শহরের বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের শোরুমের ম্যানেজার শুভঙ্কর দাস বলেন, "অন্যান্য বছরের তুলনায় এসির চাহিদা অনেক বেশি । আমরা গ্রাহকদের সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করছি । প্রতিদিন প্রচুর বাতানুকূল যন্ত্র বিক্রি হচ্ছে । তবে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে । সেটা হল বাতানুকূল যন্ত্র লাগানোর জন্য পর্যাপ্ত লোক নেই ৷ আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়েই বাতানুকূল যন্ত্র বিক্রি করছি ।"