জলপাইগুড়ি, 9 এপ্রিল : টানা বৃষ্টি । ফলে, তিস্তার জল ঢুকতে শুরু করেছিল । বন্যায় ভেসে যায় জলপাইগুড়ি শহর । মৃত্যু হয় বহু মানুষের । ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক বাড়ি । সেই বন্যায় তিনিও সবকিছু হারিয়েছিলেন । ত্রাণ পেতে হাহাকার করেছিলেন । কিন্তু মেলেনি ত্রাণ । কিশোর অবস্থায় দেখা সেই দুর্যোগের দৃশ্য আজও তাঁর মন থেকে মুছে যায়নি । তাই রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে কোরোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে টাকা দান করলেন জলপাইগুড়ির এক অবসরপ্রাপ্ত করণিক ।
স্মৃতিতে 1968-র বন্যা, মুখ্যমন্ত্রী আপৎকালীন তহবিলে আর্থিক সাহায্য ভুক্তভোগীর - কোরোনার খবর
এখনও স্মৃতিতে রয়ে গেছে তিস্তা বন্যার সেই দৃশ্য । মনে আছে, কীভাবে ত্রাণের জন্য হাহাকার করতে হয়েছিল । তাই রাজ্যোর এই সংকটের সময় পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে আর্থিক সাহায্য জলপাইগুড়ির অবসারপ্রাপ্ত করণিকের ।
জলপাইগুড়ির একটি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত করণিক দিলীপ কুমার । কোরোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে তিনি 5 হাজার টাকা দান করেছেন । তাঁর আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ আর পাঁচজনের মতো বড় অঙ্কের না হলেও দানের কারণটা অনেকের থেকেই আলাদা ।
1968-র 2 অক্টোবর । জলপাইগুড়িতে শুরু হয় টানা বৃষ্টি । তিস্তার অববাহিকাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয় । যার ফলে 4 অক্টোবর রংধামালীর দিক থেকে তিস্তার জল প্রবল বেগে ঢুকতে থাকে জলপাইগুড়ি শহরে । প্রাণ হারান বহু মানুষ । একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । জলপাইগুড়ির তিস্তা ব্রিজ এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে, ডুয়ার্সের সঙ্গে জলপাইগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । ত্রাণ পেতে হাহাকার লেগে গিয়েছিল । যাঁরা এই দুর্যোগ প্রত্যক্ষ করেছিলেন তাঁরা কেউই তা নিজেদের স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারেননি । ব্যতিক্রম নন দিলীপ কুমারও । কিশোর বেলায় দেখা সেই দুর্যোগের কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে পেনশন থেকে 5 হাজার টাকা দান করেন তিনি । মানুষের কোনও কাজের পিছনে তাঁর উদ্দেশ্যটাই যে আসল তাই প্রমাণ করলেন দিলীপ বাবু ।