মৌরিগ্রাম, 17 অগস্ট : ফিরে এসেছে তালিবান ৷ আতঙ্কে ভিটেমাটি ছাড়ছে আফগানরা ৷ তালিবানি শাসন থেকে নিজেদের বাঁচাতে বিমানের চাকায় বসে অন্য দেশে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা ৷ টিভির পর্দায়, খবরের কাগজে আফগানিস্তানের এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছেন হাওড়ার মৌরিগ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি ৷ তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে বাগরাম এয়ারবেসের কথা ৷ মনে পড়ছে রেস্তরাঁয় খাবার সার্ভ করা সেই মিষ্টি আফগান মেয়েটির কথা...আরও কত কি ৷
কাজের সূত্রে আফগানিস্তানের কান্দাহারে তিনবছর থেকেছেন ইন্দ্রজিৎবাবু ৷ সেদেশ সম্পর্কে ভাল-মন্দ দু'রকম অভিজ্ঞতাই রয়েছে তাঁর ৷ তবে ভাল অভিজ্ঞতাটাই বেশি ৷ পেশায় ইঞ্জিনিয়র ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি 2005 সালে একটি আমেরিকান কম্পানির হয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন ৷ কাজ ছিল আমেরিকান বায়ুসেনার এয়ারবেস তৈরি করা ৷ কান্দাহার ও বাগরাম এয়ারবেস বাড়িয়ে সে দেশে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছিল আমেরিকা । পাশাপাশি আফগান সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়াও চলছিল ৷ যাতে হঠাৎ কোনও সঙ্কুল পরিস্থিতির মুখে পড়লে পাল্টা লড়াই দিতে পারে ৷
কিন্তু সেই প্রশিক্ষণ যে যথেষ্ট ছিল না তা প্রমাণিত হয়েছে হাতেনাতে ৷ আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করতেই 20 বছর পর ফের আফগানিস্তানের নিজেদের কব্জায় নিয়েছে তালিবানরা ৷ ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি বলছেন, "হয় তালিবানরা নিজেদের ভীষণ উন্নত করেছে অথবা আফগান সেনাকে দেওয়া প্রশিক্ষণ যথেষ্ট ছিল না ৷ নাহলে একটি দেশে এভাবে রাতারাতি অন্যের দখলে চলে যায় !" টিভির পর্দায় দেখেছেন বাগরাম এয়ারবেসে হুড়হুড় করে ঢুকে যাচ্ছে তালিবানরা ৷ অথচ তিনি যখন আফগানিস্তানে ছিলেন মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে দাঁত ফোটাতে পারেনি তালিবান জঙ্গিরা ৷ এয়ারবেসে হামলার চেষ্টা চালিয়েও সুবিধে করতে পারেনি ৷
আরও পড়ুন : Joe Biden : সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত সঠিক, সংকটজনক পরিস্থিতি এত তাড়াতাড়ি আসবে ভাবেননি; স্বীকার বাইডেনের