হাওড়া, ২৬ ফেব্রুয়ারি : আজ পুলওয়ামায় শহিদ বাবলু সাঁতরার চেঙ্গাইলের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী মিতা সাঁতরা ও মা বনমালা সাঁতরার সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বাড়ির উঠোনে শহিদের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর বাবলু সাঁতরার পরিবারের হাতে ১২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।
আজ কাঁথি কার্ড ব্যাঙ্ক (রুরাল), কন্টাই কো-অপারেটিভ ও বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ১২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। পাশাপাশি শহিদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করার কথাও জানান। তিনি শহিদের মাকে বলেন, "আপনার এক ছেলে গেছে কিন্তু অনেক ছেলে আছে।" শহিদের স্ত্রী মিতা সাঁতরাকে বলেন, "তুমি আমার বোন। আমরা তোমার সঙ্গে আছি। তোমার মেয়ে রয়েছে তাকে মানুষ করো। তোমাদের পরিবারের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাদের বলবে। আমরা সবসময় তোমাদের সঙ্গে আছি।"
আজ পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিঘাঁটিতেভারতীয় বায়ুসেনার বোমাবর্ষণ প্রসঙ্গে শহিদ CRPF জওয়ান বাবলু সাঁতরার স্ত্রী মিতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি সাংবাদিকদেরবলেন, "ভারত সরকার যেটা ঠিক মনে করেছে সেটা করেছে। প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছিল সরকার, তা নিয়েছে।এই বিষয়ে আমার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। আমার যা গেছে, তা তো আমার গেছেই।"
আজ শহিদ বাবলু সাঁতরার স্ত্রী মিতার সঙ্গে দেখা করেন CRPF-এর পদস্থ আধিকারিকদের একটি দল। তাদের তরফে মিতাকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। CRPF-এর IG রবীন্দরন সুন্দরন বলেন, "আমরা শহিদ জওয়ানের পরিবারের পাশে সবসময় সবরকমভাবে আছি। এই বার্তা দেওয়ার জন্যই আমরা এখানে এসেছি। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কথাবার্তার পাশাপাশি বাবলু সাঁতরার স্ত্রীকে ভারত সরকারের তরফে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার না রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি করবেন, সেই সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন।"