বালি, 23 ডিসেম্বর :বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হাওড়ার দুই গৃহবধূর ৷ ছ'মাসের প্রেমের পরে ওই দুই যুবকের সঙ্গেই ঘর ছেড়েছিলেন রিয়া-অনন্যা, সঙ্গে ছিল রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুষ ৷ সুদূর মুম্বইয়ে পালিয়ে গিয়েও টাকার অভাবে ফের রাজ্যে ফেরা ৷ শেষপর্যন্ত আসানসোল থেকে প্রেমিক-সহ গ্রেফতার ৷ বালির দুই গৃহবধূর গত কয়েকদিনের জীবনপঞ্জী যেন টিনসেল টাউনের সিনেমা ৷ কিন্তু, হঠাৎ করে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্তের কারণ কী (Howrah Extramarital Affair Case) ?
সেই প্রশ্নের উত্তরেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর প্রসঙ্গ । যা জানার পর রীতিমতো হতবাক পরিবারের সদস্যরাও । পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, স্বামীকে দীর্ঘদিন ‘কাছে’ পাননি ৷ সেই হতাশা থেকেই শেখর-শুভজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান কর্মকার বাড়ির বউরা ৷ বড় বউ অনন্যার আট বছর আগে বিয়ে হলেও কোনও সন্তান হয়নি ৷ পাশাপাশি দীর্ঘদিন স্বামীকে কাছে না পাওয়ায় নিঃসঙ্গতা আরও চেপে বসেছিল । সেই নিঃসঙ্গতা দূর করতেই বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রির সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠ' সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বাড়ির বড় বউ । অন্যদিকে ছোট বউ রিয়ার বিয়ে হয় বছর দশেক আগে । তাঁর একটি বছর সাতেকের পুত্রসন্তান রয়েছে । তাঁরও একই অভিযোগ, স্বামী সময় দিত না । সঙ্গীর অভাবেই একঘেয়েমি তৈরি হয়েছিল তাঁর ৷
সেই সময়েই তাঁদের আলাপ হয় বাড়ি তৈরি করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রি শেখর রায় ও শুভজিত দাসের সঙ্গে । মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা দুই যুবক সহজেই মিশে যায় তাঁদের সঙ্গে । ফলে খুব সহজেই পরিচিতি ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতার রূপ নেয় । তাদের সঙ্গেই সংসার বাঁধার বাসনায় ঘর ছেড়েছিল তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ঘর ছাড়লেও বাধ সাধে অর্থ৷