হাওড়া, 26 মে : লক্ষ্য ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা জয়। কিন্তু সেই লক্ষ্যপূরণ হল না। শারীরিক অসুস্থতার কাছে হার মেনে গেল তাঁর স্বপ্ন । কফিনবন্দী হয়ে বাড়ি ফিরলেন হাওড়ার কুন্তল কাঁড়ার। গতরাতে কুন্তলবাবুর কফিনবন্দী দেহ আসে কলকাতায়। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পিস হাভেনে । আজ সকালে সেখান থেকে কুন্তলবাবুর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাবে।
কুন্তলকে শেষ দেখতে জনতার ভিড় - peace heaven
ঘরে ফিরল কুন্তল কাঁড়ারের কফিনবন্দী দেহ। তাঁকে দেখতে ভিড় জমান জনতা।
হাওড়া মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাবে কুন্তলবাবুর দেহ নিয়ে আসা হলে সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী অরূপ রায়। উপস্থিত ছিলেন লক্ষীরতন শুক্লা। ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে কুন্তলবাবুর নিজের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মরদেহ। বছর 46-এর প্রিয় কুন্তলকে শেষবার দেখতে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় হাওড়া অন্নপূর্ণা ব্যায়াম সমিতি প্রাঙ্গণ। কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করতে গিয়ে কফিনবন্দী হয়ে ফিরে আসা কুন্তলকে দেখতে ভেজা চোখে ভিড় করেন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা । সকাল 8 টা নাগাদ শুরু হয় অন্তিম যাত্রা। বাঁশতলা শ্মশান ঘাটে হয় তাঁর শেষকৃত্য।
লক্ষীরতন শুক্লা বলেন, "খুবই খারাপ লাগছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি গতকালও গেছিলাম বিমানবন্দরে কুন্তলবাবুর মরদেহ আনতে।" রাজ্য সরকারের তরফে এই পর্বতারোহীদের দেওয়া গাইডলাইন কতটা কার্যকরী তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "প্রত্যেককেই এই গাইডলাইন দেওয়া হয়। এছাড়াও যাত্রা শুরুর আগে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষাও করা হয়। আমাদের রাজ্যের মতো কোনও রাজ্যের সরকার এই কাজ করে না। তবে তা সত্ত্বেও যা ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক।"