সিঙ্গুর, 9 জুন : বিরোধীনেত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । সিঙ্গুর আন্দোলনই 2011 সালে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে শাসকের আসনে বসিয়েছিল । কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র দখলে গেছে BJP-র । কিন্তু, মাত্র 8 বছরের মধ্যেই জেলায় কেন এমন ভারডুবি তৃণমূলের ? এপ্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও আর্থিক দুর্নীতিকেই দায়ি করেছেন । সেইসঙ্গে BJP-র টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ।
সিঙ্গুরে হারের অন্যতম কারণ দলের একাংশের দুর্নীতি, দাবি রবীন্দ্রনাথের - রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
সিঙ্গুরসহ জেলায় লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয়েছে । কিন্তু কেন? কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল ও দলের আর্থিক দুর্নীতিকেই দায়ি করেছেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, "আইনি জটিলতার কারণে কৃষকদের জমি ফেরত না পাওয়া একটা বড় কারণ । সেইসঙ্গে বিভিন্ন কারণে কিছু জমি এখনও চাষের উপযোগী হয়ে ওঠেনি ।" তবে এটাও উল্লেখ করেন যে সিঙ্গুরের কয়েকজন বিক্ষুব্ধ কৃষক লোকসভার সার্বিক ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারেনি । সিঙ্গুরের এই ফলাফলের জন্য দলের গোষ্ঠী-কোন্দলকেই তিনি দায়ি করেছেন । তিনি আরও বলেন, "দলের মধ্যে আর্থিক দুর্নীতি রয়েছে । BJP টাকার বিনিময়ে ভোট কিনেছে যা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে । "
বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশ আবার শিল্পের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে সিঙ্গুরে । এপ্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্য, দাবি তুলতেই পারে । সবার নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে । তবে এখন জমি কৃষকদের হাতে থাকলেও শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন । আইনি পথে নতুন করে সেক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে । আর সরকার তখনই এগিয়ে আসবে যদি 75 থেকে 80 শতাংশ কৃষক জমি দিতে রাজি থাকে । সেইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা চাই শুধু ওই জমিতেই নয়, সিঙ্গুরের অন্যত্রও শিল্প স্থাপিত হোক । যেখানে অবাধে জমি কেনাবেচার মাধ্যমে ছোটো, বড়, মাঝারি শিল্প স্থাপিত হতে পারে । আমরা শিল্পের বিরোধী নই । জোর করে কৃষকদের জমি শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরোধী ।"