বাঁশবেড়িয়া , 11 মে : বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার প্রাক্তন উপপৌরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীকে লক্ষ্য করে গুলি। অভিযোগের তির তৃণমূলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে ৷ আদিত্য নিয়োগীকে চুৃঁচুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে পাঠানো হয়েছে ৷ তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ আজ সকালের ঘটনা ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, আদিত্যনাথ নিয়োগী বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে পিছন দিক থেকে গুলি করা হয়। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তাঁর অবস্থা অতন্ত্য আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৷
বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন উপপৌরপ্রধান নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সোনা শীল এবং আদিত্য নিয়োগী একসঙ্গেই কাজ করেছিলেন ৷ সপ্তগ্রাম বিধানসভায় জয়ী হন তপন দাশগুপ্ত। কিন্তু ভোটের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় ৷ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে আসে ৷ কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয় সোনা শীল এবং আদিত্য নিয়োগীর মধ্যে ৷ কিছুদিন আগেই এক পরিবারের থেকে লাখখানেক টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে সোনা শীলের দুই অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি ৷ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে মগরা থানার পুলিশ ৷ এই ঘটনার কিছুদিন পরেই আদিত্য নিয়োগির উপর হামলা নিছকই কাকতালীয় না এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় হাজির হন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত।
তপন দাশগুপ্ত বলেন, "আদিত্য ভাল ছেলে ৷ দলের হয়ে অনেক কাজ করেছে ৷ সোনা শীলের নামে আগেও অভিযোগ উঠেছে ৷ দলে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে যাঁরা, তাঁদের দলে কোনও জায়গা নেই ৷ "
আরও পড়ুন :উইলোর পরিবর্তে বাঁশের ক্রিকেট ব্যাট !