আরামবাগ, 9 জুন : আরামবাগে তৃণমূল কর্মী শেখ মফিজুলের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল স্থানীয় তৃণমূল নেতা পার্থ হাজারিকে । আজ তাকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় । শনিবার তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর হামলায় গুরুতর জখম হন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মী শেখ মফিজুল । পরে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : আরামবাগে খুন দলীয় কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল
শনিবার হরিণখোলায় একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন মফিজুল । অভিযোগ, সেইসময় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা পার্থ হাজারি ও তাইবুল হোসেনের গোষ্ঠীর প্রায় 12 জন বাইক নিয়ে আসে । রড, টাঙি নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় । মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে মফিজুলের । তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় । তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে । পাশাপাশি এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।
2018-র 16 ই ডিসেম্বর তৃণমূল কর্মী মোক্তার হোসেন খুন হন । অভিযোগ ওঠে তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে । ঘটনায় 34 জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । সেই তালিকায় নাম ছিল শেখ মফিজুলের । বিষয়টি জানাজানি হতেই ফেরার হয়ে যান মফিজুল । পরে আদলতে আত্মসমর্পণ করেন । কিছুদিন জেল হেপাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন । তবে, খুনের বদলা নিতেই কি খুন করা হল শেখ মফিজুলকে ?