কলকাতা, 30 জানুয়ারি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুধবার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল দশটার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex in Saltlake) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দুর্নীতি দমন শাখায় শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায়কে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র এবং সামগ্রী উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তার মধ্যে অন্যতম হল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহার করা দু'টি ফোন।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, এই দু'টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এবং ফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বেশ কিছু প্রভাবশালী এবং মিডিলম্যানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে। ফলে পুরো ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্যই ফের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুধবার তলব করা হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেয়।
যার জেরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা, হুগলির দুই তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম পেয়েছেন ৷ এরপরই কুন্তল ঘোষের হুগলি এবং নিউটাউনের আবাসনে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযানের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা তাঁকে গ্রেফতার করে। এরপরই কুন্তল ঘোষ লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন। পাশাপাশি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে বুধবার মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন:ফের হুগলির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা
সিজিও কমপ্লেক্স সূত্রের খবর, তাঁদের দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার ফলে একাধিক তথ্য এবং অজানা রহস্যর উদঘাটন হওয়া সম্ভব।যদিও তাপস মণ্ডল এই ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদে সম্মুখীন হয়ে জানান, কুন্তল ঘোষ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত এবং কোটি কোটি টাকা সে আত্মসাৎ করেছে ৷ যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জেলায় কুন্তল ঘোষ আবার সেই মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানিয়েছে। যদিও একে অপরের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ কতটা সত্যতা রয়েছে তা জানার জন্যই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।