পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সোশাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য, বিধায়ক মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে এফআইআর শাসক নেত্রীরই - রুনা খাতুন

TMC Factionalism: সোশাল মিডিয়ায় রুনা খাতুনের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করে পরে ক্ষমা চাইলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৷ সেই অশালীন মন্তব্যের পোস্ট নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন জেলা পরিষদের এই তৃণমূল সদস্য ৷

TMC Factionalism
রুনা খাতুন

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 4, 2024, 4:35 PM IST

মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে এবার থানার দ্বারস্থ রুনা

বলাগড়, 4 জানুয়ারি:বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুনের কোন্দলের জেরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷ দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরকে প্রসঙ্গে এবার রুনাকে সোশাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য করে বসলেন মনোরঞ্জন । পোস্ট নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন রুনা । দায়ের হল এফআইআর ৷

বৃহস্পতিবার দুপুরে বলাগড় থানায় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে অশালীন কথা ব্যবহার করা এবং প্রাণ সংশয়ের আশংকা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তৃণমূলের এই জেলা পরিষদ সদস্য । তিনি বলেন, "বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন । আমাকে যেভাবে অপমান করেছে সেটা পুরো নারী জাতির অপমান । তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন ৷ তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ নেই । তিনি ফেসবুকে না-লিখে থানায় বা দলকে জানাতে পারতেন । তাঁর সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা নেই ৷ তিনি শুধু দলকে বদনাম করার জন্য এটা করছেন । আমার মনে হয় উনি বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ৷ অথবা অসৎ উদ্দেশ্যে কোন ব্যবসায়ীর হাতে বলাগড়কে তুলে দিতে চাইছেন ।"

রুনা খাতুনকে নিয়ে বুধবার রাতে সোশাল মিডিয়ায় প্রথমে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৷ কিছুক্ষণ পর সেই পোস্টটি ডিলিট করে অন্যায় স্বীকার করে নেন তিনি । বিধায়ক লেখেন, বলাগড় বিধানসভার মানুষ ও সমস্ত পাঠকদের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন ৷ এই ধরনের শব্দ চয়ন করা তাঁর ভুল হয়েছে । আগামিদিনে এই রকম কথা তিনি আর বলবেন না । তবে বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেননি জেলা পরিষদ সদস্য রুনা খাতুন ৷ পোস্টের মাধ্যমে তাঁকে অসম্মানিত করা হয়েছে বলে সেটির স্ক্রিনশট নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এই তৃণমূল নেত্রী ৷ মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে এই নিয়ে যোগাযোগ করে ইটিভি ভারত ৷ ফোনে তিনি বলেন, "আমি যা বলছি সোশাল মিডিয়াতেই বলেছি ।"

সোশাল মিডিয়ায় এই তৃণমূল বিধায়ক লিখেছিলেন, "আমাকে চোর-খুনি-ধর্ষক বলে আক্রমণ করা হয়েছিল, তাই আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল । তাই আমি এমন একটা বাজে শব্দ লিখে ফেলি । কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বুঝতে পারি মস্ত বড় ভুল হয়ে গিয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে সেটা মুছে দিই । কয়েকজন আছে যারা শকুনের মতো আমার প্রোফাইলে নজর পেতে বসে থাকে । তারা সেটার স্ক্রিনশট নিয়ে নেয় এবং আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে থাকে । অনেকেই আমার কাছে জানতে চান এটা কেন লিখেছি, তাদের জানাচ্ছি এটা আমার একটা মস্ত বড় ভুল হয়েছে । এমনটা লেখা সত্যিই আমার উচিত হয়নি । ভুলে যাওয়া উচিত হয়নি আমি একজন লেখক । ওদের মতো মিচুয়াল নিকৃষ্ট জীব নই । আমার পাঠক প্রিয়জন, পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষের সমস্ত পরিচিত অপরিচিত সবার কাছে আমি ক্ষমা পার্থনা করছি ।"

উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরে বলাগড়ের বিধায়ক ও জেলা পরিষদের এই সদস্যের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল । গতকাল সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে । এরপরই বুধবার রাতে বিধায়কের তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় । এই ভাঙচুরের পিছনে রুনা খাতুনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৷ যদিও রুনা খাতুন সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন ৷

আরও পড়ুন:

  1. বলাগড়ে তৃণমূল বিধায়কের কার্যালয়ে ভাঙচুর, একে অপরের দিকে অভিযোগ মনোরঞ্জন-রুনার
  2. তৃণমূলের ‘কাটমানি’ নেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিতর্কে বলাগড়ের বিধায়ক
  3. টিকিট বিক্রি নিয়ে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, সোশালে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা মনোরঞ্জনের

ABOUT THE AUTHOR

...view details