চন্দননগর, 9 মে: আজ 25শে বৈশাখ, কবিগুরুর 162তম জন্মদিন ৷ সাহিত্যের আনাচাকানাচে যেমন রবি ঠাকুরের অবাধ যাতায়াত ছিল তেমনি খাওয়া-দাওয়ার দিক থেকে বেজায় রসিক ছিলেন তিনি ৷ ফলে হুগলির বিখ্যাত মিষ্টি মতিচুরের সঙ্গেও নাম জড়িয়ে রয়েছে কবিগুরুর ৷ হুগলি নদীর তীরের চুঁচুড়া চন্দননগর শহরের সঙ্গে ঠাকুর পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। রবীন্দ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, দাদা যতীন্দ্র নাথও থেকেছেন চুঁচুড়ার দত্ত ভিলাতে। রবি ঠাকুরের জন্মদিনে স্মৃতির পাতা থেকে উঠে এসেছে একাধিক গল্প ৷
জানা গিয়েছে, চন্দননগরের পাতাল বাড়িতে বসে উপন্যাস রচনা করেছেন বিশ্ব বরেণ্য সাহিত্যিক। বউ ঠাকুরানীর হাট উপন্যাস তিনি রচনা করেছিলেন এই পাতাল বাড়ি থেকেই। শুধু তাই নয়, চন্দননগরের প্রাণপুরুষ হরিহর শেঠের আমন্ত্রণেও চন্দননগরে আসতেন তিনি। মতিলাল রায়ের প্রবর্তক সংঘের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল তাঁর। 1926 থেকে 1935 পর্যন্ত প্রবর্তক আশ্রমে তিনবার আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আশ্রমের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার মেল বন্ধন ছিল এই আশ্রম। সঙ্ঘ গুরু মতিলাল রায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। কবিগুরুর জন্মদিনে ইটিভি ভারতের কাছে স্মৃতিচারণে ডুবেছেন হুগলির মানুষজন।
সূর্য মোদকের উত্তরসূরি ভাগ্যশ্রী মোদক বলেন, "পূর্বপুরুষ ও লোক শ্রুতি রয়েছে চন্দননগর স্টান্ডে জাহ্নবী নিবাসে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তখন এই মিষ্টান্ন প্ৰতিষ্ঠানের সন্দেশ খান ৷ তখনও মতিচুরের নামকরণ হয়নি। এই মতিচুর সন্দেশ হাতে নিলেই একেবারেই গুড়ো হয়ে যায়। যা দেখলে মনে হয় একটি মুক্তকে গুঁড়ো করা হয়েছে বা চূর্ণ হয়ে গিয়েছে। 1937 সাল ফের আসেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি এই সন্দেশের নাম দেন মতিচুর। সেই থেকেই নামকরণ হয়েছে।" কবিগুরু হুগলিতে এলেই এই মতিচুর সন্দেশ খেতেন ৷ আজও এই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বহন করে চলেছে ৷